গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :
বরগুনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান জাকির খানের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ। বিচারক এ মামলা আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ বিষয়টি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবাদী মিজানুর রহমান জাকির খান বামনা উপজেলার বিএনপির ৩নং সদস্য। তিনি বরগুনা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। বাদি তালিমুল ইসলাম পলাশ বরগুনা শহরের ক্রোক এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক।
এ মানহানি মামলার বিবরনিতে বাদি তালিমুল ইসলাম পলাশ উল্লেখ করেন, বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের দল নেতা ছিলেন তিনি (পলাশ)। এসময় জাকির খান বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে ১নং সদস্য পদ দাবি করেন। কিন্ত জাকির খান ঢাকায় অবস্থান করেন এবং সেখানে ব্যবসা বানিজ্যেও কাজে ব্যস্ত থাকেন বিধায় তাকে ওই পদে সুপারিশ করেননি বাদি পলাশ। এতে মনোক্ষুন্ন হয়ে আসামী জাকির খান শঠতার আশ্রয় নিয়ে নিজের ব্যংক (প্রিমিয়ার ব্যংক, আশকোনা, ঢাকা) একাউন্ট (২৩৫২৬০২০২)এর চেকে (০০১১১০০০০০০১৬০) বাদির অনুকূলে ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে জাকির খান নিজেই তালিমুল ইসলাম পলাশের স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে নেন। এরপর কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য বাদিকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন এবং পদ বানিজ্য করেছেন মর্মে প্রচারণা চালান যা বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বাদির এক কোটি টাকার মানহানী হয়েছে বলে মামলায় দাবি উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদি তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন,জাকির খান বামনা উপজেলা বিএনপিতে ১নং সদস্য পদ দাবি করেছিল। আমি জেলা বিএনপির কাছে তার নাম সুপারিশ না করায় সে আমাকে অপদস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে নিজের ব্যংক একাউন্ট থেকে আমার নামে ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নিজেই তুলে নিয়ে উৎকোচ দেয়ার প্রমান তৈরী করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ ছড়ায়। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু খবর ও প্রকাশিত হয়। এতে আমার মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদলতে ন্যায় বিচার পাবো বলে আমি আশা করছি।
অভিযুক্ত মামলার বিষয় নিয়ে কথা বলতে জাকির খানের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়াও তার ওয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও কোন সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, মিজানুর রহমান খান জাকির একজন ব্যবসায়ী। তিনি পদ কিনে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে সুযোগ না দেয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। পলাশ মামলা করেছে জেনেছি। আশা করি তিনি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন।