মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
ঢাকা-বরগুনা-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল ব্যহত হচ্ছে, যার প্রধান কারন বিভিন্ন স্থানে ডুব চর। এর জন্য প্রায় সময়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে লঞ্চ তখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
লঞ্চ মাস্টাররা জানান পাঁচ বছর আগেও নদীর অনেক গভীরতা ছিলো এবং নৌ পুলিশের সতর্কতা সিগ্ন্যাল ছিলো তখন লঞ্চ চলাচলে কোন সমস্যা হতো না কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন যায়গায় ডুবচর ও পানি কমে যাওয়ায় সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনা।
পূবালী-০১ জাহাজের মাস্টার মো: নাসির শেখ বলেন, আগে মেঘনা নদী পারি দিতে গেলে পানির স্রোত আর গভীরতার কারনে অনেক অভিজ্ঞ মাস্টাররাও ভয়ে হিমসিম খেতো কিন্তু এখন সেখানে চর পরে আছে।
রাজহংস -০৮ এর চুকানি ছগির হোসেন মাস্টার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার সময় আমরা অনেক যায়গায় বিপদে পরি। বিশেষ করে বরিশাল থেকে বরগুনা পর্যন্ত নানা স্থানে ডুবোচর হওয়ার কারণে আমাদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম কে শিপিং লাইন্স এর ম্যানেজার মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বিআইডব্লিউটিএর আইনে যেসকল এলাকায় নৌ সতর্কতা সিগ্ন্যাল বাতি থাকার কথা তা নেই, কিছু যায়গায় থাকলেও তা যেখানে প্রয়োজন সেখানে ব্যাবহার হচ্ছে না। ফলে জাহাজ মাস্টাররা ভোগান্তিতে পরে।
গত শুক্রবার বরগুনা থেকে বিকেল ০৪ ঘটিকায় ছেড়ে যাওয়া এমভি পূবালী-০১ খাকদোন নদীর মোহনায় চরে বেজে পরে এ বিষয় জাহাজ মাস্টাররা বলেন, বরগুনা খাকদোন নদীতে জাহাজ নিয়ে ঢুকতে পারিনা, গত পরশুদিন বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় খাকদোন নদীর মোহনায় জাহাজ চরে বেজে পরেছে এবং জোয়ার আসা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যার কারনে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরে এবং যাত্রীরা লঞ্চে যেতে চায় না।
তারা বলেন, বরগুনা খাকদোন নদীতে এখন কোন স্রোত নেই তাই ময়লা বেধে খুব দ্রুত চর পরে যায়। বর্তমান সিজনে পানি কম থাকায় ভাটার সময় আমরা ঘাটে পৌঁছাতে পারি না, যার কারনে এখানে সেখানে নোঙর করতে হয়।
এছাড়াও লঞ্চ বরগুনা ঘাটে এসে পৌঁছানোর অন্যতম বাধা বরগুনা পিডিপি বৈদ্যুতিক তার। তারা খুবই নিচু দিয়ে তাদের বৈদ্যুতিক লাইন নদী পার করেছে যার কারনে নদীতে পানি একটু বেশি হলেই জাহাজের ছাঁদে তার বেজে যায়, যার কারনে যেকোন সময় মারাত্মক এক্সিডেন্ট ঘটে যেতে পারে।
জাহাজ মাস্টার ও মালিকদের দাবি যাতে তারা নৌ মন্ত্রণালয়ের বিআইডব্লিউটিএ এর আইন ও দিক নির্দেশনায় সঠিক ভাবে জাহাজ চলাচল করতে পারে সে বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।