বরগুনা শাশুড়ী, স্বামী কতৃক নির্যাতিত
>>মঠবাড়ীয়ার এক নারী রুনা আক্তার <<
************************************
বরিশাল প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদন
মঠবাড়ীয়া উপজেলার কুমিরমারা,হলতার রুনা আক্তার(২৫) এর ৫ বছর আগে বিবাহ হয় বরগুনা> ডৌয়াতলা,বামনার রুবেল হোসেন (২৯) এর সাথে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, রুনা আক্তার পিতা মৃত্যু শাহা আলম,মাতা আঁখি বেগম এর গত ২০১৫ সালে বিবাহ হয় রুবেল হোসেন,পিতা মৃত্যু মান্নান হাং মাতা আলেয়া বেগম, এর সাথে। বিবাহের এক বছরের মধ্যে রুনা আক্তার অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। রুবেল ও তার মা কৌশলে ঔষধের মাধ্যমে রুনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে।এক বছর পর স্বামী রুবেল হোসেন সৌদি চলে যায়।এদিকে রুনার শারীরিক অবস্হা খারাপ হতে থাকে।পরবর্তীতে বার বার চেষ্টা করে খরচের টাকা পাওয়ার জন্য।কিন্তু রুবেল কোন টাকা দিচ্ছে না,এভাবে চার বছর অতিবাহিত হয়। গত ডিসেম্বর মাসে রুনা আক্তার বেশী অসুস্হ হয়ে শশুর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার টাকার জন্যে আপত্তি জানান। শাশুড়ী আলেয়া বেগম টাকা না দিয়ে উল্টো চুরির অপবাদ দিয়ে রুনাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিলে সে বামনা থানায় যায়,রুনা জানান বামনা থানায় তার অভিযোগ গ্রহন করেন নাই।এই ব্যাপারে বামনা থানার ওসি সাহেবের বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়ে নাই।
রুনা আক্তার আরও জানান,এলাকার বহু গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দের দারস্হ হয়েও কোন শুরাহা করতে পারে নাই। রুনার কোন ভাই নাই, তারা দুই বোন।বর্তমানে তার মা খুব অসুস্হ। স্বামী পক্ষ খুব প্রভাবশালী। তাদের দ্বারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও হয়রানির স্বীকার।
অসহায় ঐ পরিবারের পাশে দাড়ানোর কেহ নাই। অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত।আইনের আশ্রয়ে নেয়ার মত অর্থ তাদের নাই।
এভাবেই কি ধ্বংস হয়ে যাবে এক অসহায় পরিবারের নারী রুনা আক্তার? আইনি সহায়তা দেবার কি কেহই নাই এই বাংলাদেশে তাহার?
সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা অসহায়ত্তের কারণে ঝরে পড়ে।রুনা আক্তারের বর্তমান পরিস্থিতি তেমনি।