বিভিন্ন প্রজাতি রেণু-পোনা বিলুপ্তির পথে !
নিজস্ব প্রতিবেদক //
বরিশাল লাহার-হাটের কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবাধে চলছে বাটা মাছের রেণু পোনা শিকার। এতে প্রভাবশালী ও স্থানীয় নাম ধারী পাতি নেতাদের লক্ষ্য, টাকার বাণিজ্যোর কাছে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন অন্য প্রজাতির মাছের পোনা।
ফলে কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীতে দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় অন্য প্রজাতির মাছ। নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। এসবের পেছনে রয়েছে বাটা মাছের রেণু পাচারকারী এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে অসহায় জেলেদের নামমাত্র দাদনের নামে নির্বিচারে রেণু শিকারে বাধ্য করছে। শীতকালীন, এই তিন মাসে বাটা মাছের রেণু পাচার করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা নিরবিচার চালিয়ে যাচ্ছে ।
এই নিষিদ্ধ রেণু পাচারে বরিশাল জেলায় রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এক শ্রেণির প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি-সহ নাম ধারী এক শ্রেনীর সাংবাদিক এবং তাদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন লাহার হাট ও বাকেরগঞ্জ, উপজেলার প্রায় (৫/৬)টি স্পট ও ঘাট। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই লক্ষ্য টাকার এই অবৈধ বাটা মাছের রেণু/গলদা বাগদা চিংড়ির রেনুর ব্যবসা।
কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ মৎস্য অধিদপ্তর ২-১টি অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ। কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীতে তাদের রয়েছে নিজস্ব একাধিক সোর্স। এই সোর্সদের মাধ্যমেই পাচার হয়ে থাকে কোটি টাকার এই রেণু। দিনেদুপুরে শিকার করা এসব বাটা মাছের রেণু পোনার চালান হাতবদল হয়ে স্থল ও নৌ পথে বরিশাল, গৌরনদী ও ঝালকাঠি হয়ে চলে যাচ্ছে সাতক্ষীরা,খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
স্থল পথে গাড়ি পারা-পার করার সময় তাদের সোর্স থাকে,রুপাতলী,আমতলার মোড় কাশিপুর সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে। যার সত্যতা স্বরূপ একাধিক ফুটেজ রয়েছে সংবাদকর্মীদের হাতে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে (১২.৩০) পড়ে একটি অবৈধ বাটা মাছের রেণু পোনার গাড়ি পারা-পার এর সময় কাশিপুর চৌমাথা এলাকায়, স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্তরা গাড়ি টি থামিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
সে সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বরিশাল থেকে গণমাধ্যম কর্মী গিয়ে দেখেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে এ সময় সাংবাদিক’রা তাদের গাড়ি আটকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে, কাশিপুর এর স্থানীয় কিছু লোক ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে বাক বিতোন্ডায় জড়ায়, এবং তারা নিজেদের সাংবাদিকের কার্ড আছে বলে জানান দেয়। তারা প্রশাসন ছাড়া গাড়ি ধরতে পারে কিনা জানতে চাইলে উল্টো সাংবাদিকের ভিডিও ধারন করা শুরু করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি শুরু করে এবং এলাকার মানুষকে ডাকাত এসেছে বলে ফোন দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পড়ে তারা নিজেরাই এয়ারপোর্টোয় থানায় ফোন দেয় কিছু সময় পর পুলিশ ঘটনা স্থানে এসে কোন রকমের তদন্ত না করেই গাড়িটি ছেড়ে দেয়।
গোপন সূত্রে যানা যায়, মাসোয়ারা একটি টাকার মাধ্যমে কাশিপুর এর এস সব লোক গুলো রেণু পোনার গাড়ি পারা-পার করে দেয়।
অপর দিকে গাড়ি, আটকানোর কথা শুনে, চক্রের অন্যতম সদস্য সাদ্দাম যে কিনা চরকাউয়া এলাকায় গাঞ্জা সাদ্দাম নামে পরিচিত। সাদ্দাম ঘটনা স্থানে এসে বলেন এই গাড়িটি আমার রেণু ব্যবসা আমি নিজেই শুরু করেছি, অবৈধ রেণু পোনা ব্যবসা কি ভাবে করে জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, বড়, বড়, সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে লাইনে গাড়ি চালাই এবং এ গাড়ির বিষয়ে রাজনৈতিক অনেক নেতাদের হাত রয়েছে বলে জানান।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, নাম ধারী এক শ্রেণির সাংবাদিক সহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর এই অবৈধ বাটা মাছের রেণু পোনার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, দেখার জেন কেউ নেই দাবি সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলার মৎস কর্মকর্তা বলেন,ডি এফ ও রিপন কান্তি বলেন আপনারা সঠিক তথ্য আমাদেরকে দেন আমরা অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় এনে প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা করব।
Leave a Reply