মোঃ সোলায়মান হাওলাদার
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে ঢল জমিয়েছে দর্শনার্থীরা। করোনা ঠেকাতে যে কোন ধরণের জমায়েত না করার নির্দেশনাও দেওয়া হলেও জমায়েত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি পেয়ে বরিশাল নগরের বেশিরভাগ মানুষ এ বিনোদন কেন্দ্রে ভীড় জমিয়েছেন।প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে সকল বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরগরম উপস্থিতি।শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত দেখা যায়, বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, ত্রিশ গোডাউন এলাকার কীর্তনখোলার পাড়, প্লানেট ওর্য়াল্ড শিশু পার্ক, মুক্তিযোদ্ধ পার্ক, নগরের প্রাণকেন্দ্র বিবির পুকুর পাড়ের ভীড় ।বিনোদন কেন্দ্রে জমায়েত কিংবা ভীড় কমাতে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মাস্ক ছাড়া দোকানী ও দর্শনার্থীদের খোলা খাবার খেতে দেখা যায়। প্লানেট পার্কে শিশুসহ নানা বয়সীদের নানা রাইডে চড়তে ও ঘুরতে দেখা যায়।বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন গ্রীনসিটি পার্কে কয়েকশত শিশুদের একসাথে খেলা করতে দেখা যায়। পার্কে অভিভাবকদেরও শিশুদের সাথে দেখা যায়। করোনার আক্রান্তের কোন ভীতি এসব স্থানে বোঝা যায় নি।তবে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এমনকি মাক্স ব্যবহার না করে বিনোদন কেন্দ্রে বেড়াতে আসার ব্যাপারে দর্শনার্থীরা বলেন, মাক্স সাথে আছে, তবে প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় মাক্স ব্যবহার করা হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্যামেলিয়া খান বলেন করোনায় ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্কতার জন্য সরকার বিধিনিষেধ ঘোষনা করেছেন। গোটা দেশে পুনরায় করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেই সময় বিনোদনকেন্দ্রগুলো উন্মুক্ত রাখার যৌক্তিকতা কি? এখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে সর্বত্র। সেই আশঙ্কায় সরাকার কিন্তু সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । কিন্তু বন্ধ পেয়ে সবাই যদি বিনোদনকেন্দ্রে ভীড় জমায় তাহলে আর রক্ষাকবচ থাকলো কই? বিদেশ ফেরত বাঙালিদের নিয়ে যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি যারা দেশে আছেন তাদের চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরী কি না? যদি তাই হয়, তাহলে বিনোদনকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’।