এস এম নওরোজ হীরা বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। সেই হিসেবে প্রচার-প্রচারণার সময় একেবারে শেষের পথে।
আর শেষ দিকে এসে প্রচারণার মাঠে ভিন্নতা এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সঙ্গে দল মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহও (খোকন সেরনিয়াবাত) ।
বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড নৌকা নির্বাচনী কার্যালয়ের জিলানী চৌধুরী গণ সংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রচারণার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাদের নারী ও পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
যে যেভাবে পেরেছেন সেইভাবে এই প্রার্থীর বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আর প্রার্থী নিজেই চেষ্টা করেছেন নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে যাওয়ার, সেক্ষেত্রে জনসংযোগের পাশাপাশি উঠান বৈঠকসহ শিক্ষাবিদ, সিনিয়র সিটিজেন, যুব সমাজ, শ্রমিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ইমাম সমিতি, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করছে। প্রচারণায় প্রতিনিয়ত রেখেছেন নতুনত্ব, উঠান বৈঠক, গণসংযোগের পাশাপাশি তিনিও সুশীল সমাজ, শিক্ষক সমাজ, যুব সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি প্রতিবাদীও ছিলেন।যদিও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর (খোকন সেরনিয়াবাত) স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহ সবার প্রথম প্রচারণার মাঠে নেমে নারী ভোটারদের মন কেড়েছেন।
১০ নং ওয়ার্ডের গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের সাথে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ১০ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মেরী জনসন বলেন যদিও কোনো প্রার্থীর সমালোচনা না করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তি হলেও তিনি প্রচারণার শুরু থেকে নিজেকে যেমন জনসংযোগ আর উঠান বৈঠকে ব্যস্ত রেখেছেন, তেমনি তার সহধর্মিণী লুনা আব্দুল্লাহও গোটা নগরী চষে বেড়িয়েছেন।
মেরী জনসন বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌকাকে এক অনন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেছেন লুনা আব্দুল্লাহ। আর প্রচারণার শুরু থেকেই খোকন সেরনিয়াবাত ও তার সহধর্মিণী বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মতবিনিময় করেছেন। সেইসঙ্গে প্রার্থীর ছেলে আবিদুর রহমান সেরনিয়াবাতও যুব সমাজকে ঘিরে সক্রিয় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এদিকে শেষদিকে এসে প্রচারণার কৌশলে আশপাশের জেলা-উপজেলাকেন্দ্রিক নগর কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতারাও এ সময়ে সরব রয়েছেন প্রচারণার মাঠে।
আবার মাঝামাঝি সময়ে এসে ১৪ দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠে প্রাণবন্ত প্রচারণা চালানোয় সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী। ১০ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটি অন্যতম নেতা জিলানী চৌধুরী বলেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চেষ্টা করছেন শহরের প্রতিটি বাড়ি এবং ভোটারসহ সব ধরনের মানুষের কাছে প্রার্থীর বার্তা পৌঁছে দিতে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খোকন সেরনিয়াবাতের মনোনয়ন দেওয়ায় নগরবাসীও বুঝতে পারছেন, গত এক দশকে বরিশালে যে উন্নয়ন হয়নি, তা খোকন সেরনিয়াবাতের হাত ধরেই হওয়া সম্ভব।
সেক্ষেত্রে ভোটাররা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে শহরের উন্নয়নে ১২ জুন ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকার পক্ষেই তাদের মূল্যবান ভোট দিবেন। এদিকে ২০১৩ সালের পর এবারই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার মাঠ চষে বেড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।১০ নং গণসংযোগ কালে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন খোকন , জিলানী চৌধুরী, আবুল হোসেন, মেরি জনসন , হাসিনা বেগম , সোহরাব হোসেন প্রমূখ