আল আমিন আহমেদ নাঈম, সিলেট সদর প্রতিনিধি।
শহরের চন্দ্রিপুল এলাকা পার হয়ে একটু সামনে যাওয়ার সাথে সাথে বরের গাড়ির সামনেই একদল হিজড়াদের ব্যারিকেট উদ্দেশ্যে সাহায্যের নামে চাঁদাবাজি। বোন বাগনা বাগনি ভাতিজি সংঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার তাজপুর কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জের ফরিদ উদ্দিন। হঠাৎ হিজরাদের ব্যারিকেট দেখে মান বাচাতে তিনি নিজেই চালককে বলেছিলেন গাড়ি সাইট করার কথা। হিজরাদের চাঁদাবাজির কারণে অনেক জায়গায় লাঞ্চিত হচ্ছে শত ভদ্র পরিবার সে কথা জানতেন বর ফরিদ উদ্দিন। তাই লোক লজ্জার ভয়ে তাদের হাতে ৫০০ শত টাকা দেওয়ার পরও কম হয়েছে বলে হিজড়ারা শুরু করে তাদের অশালিন আচরণ। বিশেষ করে বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠান হলেই সে স্থানে তাদের আগমন হয়ে যায় এক প্রকার ক্যাডারের মত। এ সব অনুষ্ঠানে হাজার টাকার নিচে দিলেই শুরু হয় অত্যাচার। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পুলিশের টহল কম থাকায় রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে হিজড়াদের চাঁদাবাজ দল। বরের গাড়ি দেখা মাত্র শুরু করেন তাদের অশ্লীল কান্ড। এতে গাড়ি রাস্তায় এবং বিয়ের সেন্টার থেকে দফায় দফায় বড় অংকের চাঁদা আদায় করেন হিজড়া নামধারী সন্ত্রাসীরা। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে তাদের জন্য নানান রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও থামছেনা হিজরাদের এমন অশালিন আচরণ। এদের এমন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিলেটের সচেতন মহল।