বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে জাতীর পিতা ১০১তম জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন
আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবানঃ
যতদিন রবে পদ্মা,যমুনা,গৌরি মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মধ্য দিয়ে বান্দরবানে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশত বার্ষিকী ১০১ তম পালিত হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ বুধবার বিকাল ৪ঘটিকায় সময় শহরে রাজার মাঠ হয়ে আনন্দ মিছিল বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় রাজার মাঠে সমাপ্তি হয়।পরে কোরান তেলোয়াত,গীতা পাঠ,ত্রিপিটক, বাইবেল পাঠ সমাপ্তি মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ নেতৃত্বে, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শামসুল হক সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা,সহ-সভাপতি আব্দুর রহীম চৌধুরী,সহ-সভাপতি কাজল কান্তি দাশ,সহ-সভাপতি উজ্জল কান্তি দাশ,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ,চৌধুরী প্রকাশ বড়–য়াসহ জেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এই সময় পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মিলিয়ে ৫৫৬ মসজিদ।যার বরাদ্ধ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবুুুও উন্নয়ন থেমে নাই।আজ থানছিকে মডেল উপজেলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে । আজ থানছিতে বিদ্যু,স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি বহমান।
বক্তব্য তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আওয়ামীলীগ কে অর্থ দিতে চাইনি,দুর্নীতি হবে কে দিবেন,আজ পদ্মা ব্রিজ সাংরাবাংলা কাছে স্বপ্নের সেতু। বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে পদ্মা মানে স্বপ্নের সেতু। বিশ্ব ব্যাংক থেকে আজ টাকা না চেয়ে সরকার নিজের অর্থে বানানো সেই পদ্মায় কাল বা পরশু রেল আর গাড়ি চলবে।এটাই আওয়ামীলীগ এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশ নিরপেক্ষতা নয়,ধর্ম যার যার দেশ সবার। দেশ মানে বঙ্গবন্ধু দেশ।
বলেন, এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান এই ক্ষমতা একদিন থাকবেন নাহ চলে যাবে অন্যের কাছে। তাই নিজেকে এত বড় ভেবে লাফ নাই। আজ পার্লামেন্ট দখল করেছে বাঙ্গালি জাতি এটাই বঙ্গবন্ধু । মনে রাখবেন রাখে আল্লাহ মারে কে। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ২২ জন নেতা নেত্রীকে হারিয়েছে। তবুও আজ বাংলাফেশ থেমে নেই। প্রত্যেক দলকে সজাক থাকতে হবে।১৭ মার্চ মানে জাতীয় পিতার মার্চ, ১৭ মার্চ না আসলে ২৬ মার্চ আসতনা,ও ২৬ মার্চ না আসলে ৭ মার্চ বংগবন্ধু ভাষন এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম এই বক্তব্য আসতনাহ। ১৯৯১ সালে মহিলা আওয়ামীলীগ ছিলনা,আজ বান্দরবান সহ ইতিহাসে মহিলা আওয়ামীলীগ বান্দরবানে এগিয়ে আসছে।মহিলা মানে জাতীর মা। নারী ক্ষমতা দেওয়া জন্য আজ সরকার মহিলা আসন দেওয়া সুযোগ দিয়েছে। এটি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ। আদর্শকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে ধর্ম কোন ভেদাভেদ নাই আমরা আওয়ামীলীগ আমরা বঙ্গবন্ধু সৈনিক। আওয়ামীলীগ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে ও জন নেত্রী হাসিনা হাত রেখে সেই সোনার বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে সরকার বামে ডানে থাকবে বঙ্গবন্ধু সৈনিক। জাতির পিতা আত্নার কামনা জানান ও আগামীতে আরো বড় আয়োজন করা আহব্বান জানান।
অমল কান্তি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাজার বছরে শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী যার মাধ্যমে আজ আমরা এই খানে দাড়িয়ে আছি। নব সাজে সকল ওয়ার্ড নেতা, ও বাজারে সংগঠন, আর সকল কেক শহর আওয়ামীলী পক্ষে থেকে কৃতজ্ঞতা জানান। সকল সহযোদ্ধা ও সহযোগীতাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাশাপাশি এক সাথে কাজ কএয়া আহব্বান জানান।
এইদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ-পৌর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক ভাবে কেক কাটায় অংশ নেন ও পাশাপাশি ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply