বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে
মোংলা পোর্ট পৌরসভার আয়োজনে "বিজয়ের মহা উৎসব" শিরোনানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় মোংলা পোর্টপৌরসভার এসি মার্কেটের সামনে বিজয়েরর মহা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসন, যুবলীগ নেতা মোঃ জলিল শিকদার, পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোঃ সফি উল্লাহ, মোঃ হুমায়ুন হামিদ নাসির, পৌর যুবলীগের সভাপতি এবং ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস, এম কবির হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরিফ), মোঃ বাহাদুর মিয়া, জিএম আলামিন, , মেঃ সরোয়ার, মোঃ মজনু গাজী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা চানু, জোহোরা বেগম, শিউলি আক্তার, সচিব অমল কৃষ্ণ সাহা প্রমূখ। এ সময় উপজেলা ও পৌর আ'লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন.
গত ৫০ বছরে যা কিছু অর্জন, জাতির পিতা এবং তার দল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই তা হয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেছেন, দেশের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হয়েছিল ১৯৪৭ সালে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের পা আটকে ছিল পাকিস্তানি বেড়িতে। সেই শেকল ভাঙার মন্ত্র শেখানো শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাংলার মানুষের ভালোবাসার বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদারের আক্রমণের পর বঙ্গবন্ধুই দেন স্বাধীনতার ডাক, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। তা সফল পরিণতি পায় নয় মাস পর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে জয়ের দিন। বিশ্বের হাতেগোনা যে কটি দেশের স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি বিজয় দিবসের মতো উৎসবের উপলক্ষ রয়েছে, তার একটি বাংলাদেশ।
পরে দেশের খ্যতিমান শিল্পি দের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।