বলিহার গোবিন্দ মন্দিরে ৬ষ্টবারের মত পালিত হলো দোলপূর্ণিমা
সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরোঃ
প্রতিবছর বলিহার গোবিন্দ মন্দিরে দোল উৎসব পালিত হলেও গত বছর করোনার পোকোপ বেসি হওয়ায় বন্ধ ছিল উৎসব কিন্তু এবার সাস্থবিধি মেনে পালিত হলো দোল পূর্নিমা।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ শুক্রবার ষষ্টবারের মতো পালিত হলো বলিহার গোবিন্দ মন্দিরে । বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।
দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজশাহীর জেলার বাঘা থানার বলিহার গ্রামে ষষ্টবারের মতো গোবিন্দ মন্দিরে পুজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মন্দির কমিটি।বলিহার সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে গোবিন্দ মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা ও কীর্তন শুরু সকাল সাড়ে ৯টায় এবং প্রসাদ বিতরণ দুপুর ১২টায় শেষ হয়।
দোল পূর্ণিমা সম্পর্কে বলিহার মাঝপাড়া গ্রামের প্রামানিক অনিল সরকার বলেন আমরা প্রতি বছর সকল মানুষের কল্যানে শ্রী কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করে এই উৎসব পালন করি। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয় করোনা থেকে সকল জীবের মুক্তি কামনা সহ সকলের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেছি।প্রতিবার উৎসব বড় হলেও এবার করোনার জন্য সাস্থবিধি মেনে অল্পসমাগম অনুষ্টান শেষ করেছি।আশা করছি সামনে বছর করোনা দুর হবে আমরা ধুমধামে উৎসব পালন করবো।
বলিহার গোবিন্দ মন্দিরের সভাপ্রতি প্রশান্ত সরকার বলেন সমাজিক দুরত্ব বজাই রেখে সবার মাক্স পড়া বাধ্যতম করে অল্প মানুষ নিয়ে দোল পূর্ণিমা পালন করলাম।প্রতি বছর হলেও গত বছর করোনার কারনে বন্ধ ছিল। এবার আমাদের ষষ্টতম বছর পদার্পন করেছে দোল উৎসব।করোনা থেকে বিশ্ববাশি মুক্তি পাবে এই প্রার্থনা করেছি আমরা সবাই।সবার জীবনে সুখশান্তি বজায় থাকবে এই আশা ব্যাপ্ত করি।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোন কোন স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। দ্বাপর যুগ থেকে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। সারাদেশে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদ্যাপন করবেন।