এসএম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সবজি প্রধান জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দিনাজপুর। বাংলাদেশের মধ্যে ধান গম ভুট্টা,পান,শাকসবজি, উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন কারী জেলা দিনাজপুর । এ ছাড়া বাণিজ্যিক লিচু আসিফ এবং আম উৎপাদনে বাংলাদেশের জেলাসমূহের মধ্যে দ্বিতীয়। এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজে নিয়োজিত। শ্রমশক্তির ৫৮% কৃষিকাজে নিয়োজিত।
ধান শস্য ধান, ভুট্টা, পান,পাট,গম, আলু, আখ, তামাক,বেগুন, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল,বাঁধা কপি, ফুল কপি,মুলা,গাজর, ধনিয়া পাতা,ঢেরশ,বরবটি, শিম, মিষ্টি কুমরা, বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি ।আগাম জাতের বাঁধাকপি ফুলকপি চাষে লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুরের চাষিরা। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে আগাম বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ। চলতি বছর দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার চলতি রবি মৌসুমে ফুলকপি২৬০ ও বাঁধাকপি ও ৩১o হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের চাষি আব্দুল মজিদ জানান, চলতি বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তিনি ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন।সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে চলতি বছরের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে, ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসায় খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সারাদেশে সব ধরণের সবজির দাম বেড়ে গেছে। তবে এমনিতেই আগাম জাতের সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হন। দিনাজপুর জেলায় উৎপাদিত সবজির চাহিদা এমনিতেই বেশি। দিনাজপুর জেলার উৎপাদিত বাঁধাকপি ও ফুলকপি খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গোপলগঞ্জ, সিলেটে বেশি রপ্তানি হয়। তবে এ বছর ব্যাপারিরা প্রায় সারাদেশেই দিনাজপুরের বাঁধাকপি ও ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছেন।