হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড এর উদ্যেগে বিজয়ের ৫০বৎসর-সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইট্স নবানন পার্টি হলে ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ বিকাল ৬টায় সংগঠনের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত আব্দুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম আজিমের পরিচালনায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ভারঃ কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার জনাব নূর-ই-এলাহি ও ডেমক্রেটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লীডার এটর্নী মঈন চৌধুরী। সভার শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত সম্মিলিতভাবে পরিবেশন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও সকল মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও ২লক্ষ মা-বোনদের স্মরণে শ্রদ্ধাভরে ১মিনিট নীরাবতা পালন করা হয়।খবর বাপসনিউজ।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহিনীর সকল সেক্টর কমান্ডারগণ, মুজিব বাহিনীর ৪ জন সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠক ও নেতৃত্ব ও সকল মুক্তিযুদ্ধাগণসহ ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা ও জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধা আরোগ্য ও সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমীন।
সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক। নূর-ই-এলাহি মিনা তার বক্তব্যে জাতির জনকের নেতৃত্বে জাতিকে স্বাধীনতার জন্য তৈরী করার ইতিহাস বিস্তারিত তুলে ধরেন। এটর্নি মঈন চৌধুরী তার ভাষণে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার সহায়তার আশ্বাস পূনর্ব্যক্ত করেন ও এই অনুষ্ঠানের পুরো স্পনসরশীপ প্রদান করেন। প্রধান অতিথি তার ভাষণে কন্স্যুলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের জন্য তার অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তার সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
সভার এ পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানত উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাব্বির রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মঈনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মলিন চন্দ্র সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল আমীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন আজহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজীজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক চৌধুরী (রানা), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাদী হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলেয়া শরীফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামান আক্তার, যুদ্ধাকালীন নিজ নিজ পরিচয় ব্যক্ত করেন। সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত আব্দুল চৌধুরী তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনকের কন্যার ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘Zero Tolerance’ বাস্তবায়নে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান। সভা শেষে সকলে মিলে জয় বাংলা শ্লোগান ও নৈশভোজের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।