কোন কোন ধারা অন্তর্ভুক্ত?
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীনে অপরাধগুলো বিবেচনা করতে পারবেন। এসব ধারার অধীনে গ্রেপ্তার, তল্লাশি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ, এবং জনসাধারণের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
এই ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ধারা ৬৪: ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারীকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।
- ধারা ৬৫: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা।
- ধারা ৮৩, ৮৪, ৮৬: ওয়ারেন্ট অনুমোদন এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে অপসারণের ক্ষমতা।
- ধারা ৯৫(২): ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুসন্ধান এবং নথিপত্র আটক করার ক্ষমতা।
- ধারা ১০০: ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করতে অনুসন্ধান ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।
- ধারা ১০৫: তল্লাশি পরিচালনা এবং সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।
- ধারা ১০৭: শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা।
- ধারা ১০৯: ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষমতা।
- ধারা ১১০: ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষমতা।
- ধারা ১২৬: জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।
- ধারা ১২৭: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।
- ধারা ১২৮: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
- ধারা ১৩০: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
- ধারা ১৩৩: স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের জন্য আদেশ জারি করার ক্ষমতা।
- ধারা ১৪২: জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা।
এই ক্ষমতার আওতায় সেনা কর্মকর্তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কর্মকর্তারা দুই বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি দিতে পারবেন।
Leave a Reply