বাউফলে ইউপি চেয়ারম্যানের ঘরে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট
মোঃ আশিকুর রহমান তুষার প্রতিনিধি বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ল্যাংড়া মুন্সির পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্রবধূ মোসা. ফারজানা ওরফে ইমা (২৪) অভিযোগ করেছেন, আতিকুর রহমান ওরফে মোহনের (৩০) নেতৃত্বে মামুন (৩৩), রিপন (৩৫), ওলি (৩৭), শান্ত (৩৮), নাসির (৩৫), বশার মৃধা (৪৮), পঙ্কজ (৩৫), তুহিন (৩৬), শাহিন (৩৩) নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল ওই হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
পুত্রবধূ ফারজানা বলেন, তাঁরা আজকে তাঁদের এক স্বজনের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বিকেলে বাড়িতে ফেরেন। পোশাক পরিবর্তন করে তিনি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে, শাশুড়ি মোসা. রাশিদা বেগম (৫০) ও খালা শাশুড়ি মোসা. রেহেনা বেগম (৪২) বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আতিকুর রহমান মোহনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর করতে থাকে। তখন তাঁরা ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আতিকুর রহমান মোহনের অত্যাচারে তাঁর অনেক কর্মী-সমর্থক এলাকায় থাকতে পারছে না। তিনিও আতংঙ্কে আছেন। গত রোববার সকালে আতিকুর রহমান মোহন তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লাঠিসোঁটা ও দা নিয়ে তাঁর বাসার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ কারণে তিনি ওইদিন থেকে বাড়িতে যান না। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই আজকে তাঁর ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার সাহস পেয়েছে।’
তবে আতিকুর রহমান মোহন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি স্থানীয় এমপি’র সাথে একটি দলীয় মিটিংএ ছিলাম। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার লোকজনের ওপর দায় চাপাতে চায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।