মোঃ আশিকুর রহমান তুষার,বাউফল(পটু্য়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে মোঃ ফিরোজ মুন্সি(৪০) নামের এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুল ফটোকের সামনে দিবালোকে জনসম্মুখে এ হামলা চালানো হয়। আহত মোঃ ফিরোজ মুন্সী পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের মৃতঃ আঃ রশিদ মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পারিবারিক কলহোর জেরে বাউফল পৌর শহরের ০৯ নং ওয়ার্ডের কাঠাল বাগান গ্রামের বাসিন্ধা মোঃ হেলাল মুন্সি(৪০) পিতাঃ রাজা মৃধা এবং তার আপন ভাগিনা জাহিদ হাসান সাগর(২৮) পিতাঃ মৃত জাহাঙ্গীর ফকিরের সাথে কলহো বাধে। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রুপ নেয়। এলাকায় মারামারি করে তারা চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর সেখানে উঃসুক জনতারা ভিড় করেন সেখানে আহত মোঃ ফিরোজ মুন্সী ও আসেন। হঠাৎ কোনো কারন ছাড়াই এলাকা থেকে মারামারি করা আসা জাহিদ হাসান সাগর(২৮) ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাতারী ভাবে হাতুরী এবং কিল ঘুসি দিয়ে প্রচন্ড ভাবে জখম করেন ফিরোজ মুন্সীকে । রাস্তার অপর পাশে থাকা ফার্মেসীর ব্যবসায়ীরা মারামারি দেখে ছুটে এসে আহত ফিরোজ মুন্সীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাতুরীর আঘাতে মাথায় প্রচন্ড যখম হওয়ার কারনে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতী হওয়ায় ফিরোজ মুন্সীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
আহত ফিরোজ মুন্সীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কি কারনে তার উপর হামলা করা হলো সে সম্পর্কে তিনি এখনো কিছু জানেন না। কে বা কারা হামলা করেছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন মোঃ জাহিদ হাসান সাগর (২৮) রবিন(২২) কাওসার হোসেন (২৮) আঃ রহমান(২৫) এরা আমার উপর হামলা চালায় সাথে আরো ৩/৪ জন ছিলো । মাথা ধরে রাখার কারনে আমি বাকিদেরকে ঠিক মত দেখতে পারিনি। আহত ফিরোজ মুন্সীর স্ত্রী তার স্বামীর উপর হওয়া হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন ।
উল্লেখ এই জাহিদ হাসান সাগর(২৮) এবং তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এর আগেও বাউফল থানায় একাধীক অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় সর্ম্পকের খালাকে বিবাহ্ করে আলোচিতও হয়েছেন এই জাহিদ।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আল মামুন বলেন হাসপাতালের সামনের ঘটনা শুনে সাথে-সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।