1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
বাউফল কাশিপুরে আদালত অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ। - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
ad

বাউফল কাশিপুরে আদালত অমান্য করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
  • ৮৬৫ Time View

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মিজান চাকলাদার ও জয়নাল হাওলাদার এবং তাদের সহযোগী দেলোয়ার ও মোঃ কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মোঃ আবুল মোল্লা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসএ জরিপ ও দিয়ারা জরিপে রেকর্ডীয় মালিক মৈয়ফুল বিবি এর নাতনীদে নিকট থেকে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কবলা দলিলমূলে ৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন প্রতিপক্ষ আবুল মোল্লা সহ কয়েক জন।

জেএল ১০৭,এসএ ১২১, মৌজা কাশিপুর, খতিয়ানের নং২২৯, মোট জমির পরিমান ৮,৬৬ একর, উক্ত খতিয়ানের ৪,৫,৬ নং দাগের ষোলআনা জমি ক্রয় করে প্রতিপক্ষ মোঃ আবুল মোল্লা। এ জায়গায় জবর দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছেন ভূমিদস্যু নিজাম চাকলাদার ও জয়নাল হাওলাদার।

ঐ জমিতে আবুল মোল্লা বাদী হয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে বিবাদমান জমির ওপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং জমি যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায়ই থাকবে,আকার আকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদেশ দেন। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দিলেও কয়েক দিন পরে আবারও নিষেধাঞ্জা অমান্য করে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন ভুমিদস্যু মিজান চাকলাদার ও জয়নাল হাওলাদার।

এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, কাজ বন্ধ থাকলেও পাকা ভবনের কিছুটা দেয়াল এবং উপরে ছাঁদ দেওয়ার জন্য রড বাঁধা রয়েছে এবং উপরে কাজকর্মের জিনিসপত্র দেখা যায়।

অন্যদিকে বিবাদীরা জানান, তারা কাজ বন্ধই রেখেছেন। তাহলে ছাঁদ দেওয়ার জন্য রড বাঁধা এবং কাজ করার জিনিসপত্র কেন এখানে রয়েছে ? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন- এগুলো আগে থেকেই এখানে ছিলো, আমরা কোনো কাজ করিনি। আমাদের উপর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে মোঃ জলিল হাওলাদার জানান, আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয় এবং বিবাদমান জমির ওপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং জমি যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায়ই থাকবে। আকার আকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদেশের পরেও মিজান চাকলাদার ও জয়নাল হাওলাদার কাজ করেন। তারা আজকেও কাজ করেছে, আপনাদের আসার খবর শুনে হয়তো তারা কাজ বন্ধ করেছে। আপনাদের মাধ্যমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বাউফলের প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে বগা তদন্ত ইনচার্জ মোঃ মহিবুল্লা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পাকা ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমি জানি। একপক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে। পরবর্তীতে শুনেছি তারা দু’পক্ষ এটা নিয়ে বসবে। তবে, বিবাদী পক্ষ যদি আদালত অবমাননা করে সেটা আদালতে জানালে যদি আমাদের কোনো নির্দেশ দেয়, আমরা সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবো। এছাড়া আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবোনা। যেহেতু মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি