বাগমারায় বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মানের অভিযোগ,সংঘর্ষে ৫জন আহত
বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হরিফলা মহল্লায় বিচারাধীন জমি তে জোরপূর্বক ঘর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হরিফলা মহল্লার বাসিন্দা খলিলুর রহমান ও তার দুই বোন জহুরা বিবি এবং নুরজাহান বিবি বাদী হয়ে তাহেরপুর পৌরসভায় একটি লিখিত দরখাস্ত প্রদান করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৩মাস পূর্বে পৌর কার্যালয়ে মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষ কে ডাকা হয় এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরবর্তিতে পুনরায় মিমাংসায় বসার হবে বলে জানায় পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাব বেড়ে গেলে সালিশি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরে।
এর মধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিন্টু পিয়াদার নির্দেশে বিবাদী বদর উদ্দিন ও তার বড় ছেলে আব্দুল লতিফ প্রামাণিক এবং ছোট ছেলে আব্দুল মতিন প্রামাণিক ও তার সমর্থকেরা ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। কাজ শুরু হলে বাদীরা বাধা দিলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ফলে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।আহতরা হলেন জহুরা বিবি,শরিফা বিবি,আক্কাস শাহ,,শাহনাজ বেগম ও মিনু বেগম।সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।এ সময় প্রতিপক্ষের দ্বাড়া এক পুলিশ সদস্য শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হন।তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনার পর খলিলুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম দুলাল লোকমাধ্যম জনাতে পেরে গত ২৫/০৪/২০২১ ইং বাগমারা থানায় একটি জিডি করেন।
এ ব্যাপারে জমির মালিক খলিলুর রহমান বলেন,আমরা একে অপরের আত্মীয় হওয়ার পরেও তারা জমি দখলের চেষ্টা করছে।আমরা এর সুষ্ঠ ফায়সালা চাই সে কারনে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেছি।
দির্ঘ্য দিন ধরে চলা বিবাদের মিমাংসা করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের কাছে এমনই মন্তব্য করেছেন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ুব আলী।
এ প্রসঙ্গে বাদী খলিলুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন,তাহেরপুর পৌরসভায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে মিমাংসায় বসা হলে কোন সমাধান হয়নি তবে পরে আবারও শালিসের তারিখ দেওয়ার কথা বলে।কিন্তু সমাধানের তারিখের আগেই বিচারাধীন জমিতে ঘর তুলতে চেষ্টা করলে খবর পেয়ে বাদী তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয় । তাদের বাধা উপক্ষে করে বিবাদীরা বাধা অতিক্রম করে ঘর তুলতে থাকে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেলে আমরা স্থানীয় প্রশাসন কে খবর দিলে তারা ঘর তৈরির কাজ বন্ধ করে।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বিবাদী বদর উদ্দিনের বড় ছেলে আব্দুল লতিফ বলেন, ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছি এ কথা সত্যি তবে সেই সাথে বাদীদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তারা যদি জমির অংশ পান তাহলে ঘর ভেঙে আপনাদের জমি দেওয়া হবে।।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিলন পেয়াদা বলেন, স্থানিয় কাউন্সিলর মিন্টু পেয়াদার নির্দেশে বিবাদীরা ঘর তুলতে শুরু করে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মিন্টু পেয়াদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিবাদীরা আমার কাছে এসেছিল কয়েকদিন আগে, আমি তাদের কে বলেছি আমার কিছু করার নাই এ ব্যাপারে আমি তাদের কে মেয়র সাহেবের কাছে যেতে বলি। এ ব্যাপারে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা, তবে বাগমারা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে জানালে আমি কাজ বন্ধ করে দিতে বলি এবং পৌরসভার কাজে ঢাকায় আছি তাহেরপুর গিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দিব। এ ব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দ্রুত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি এবং কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
Leave a Reply