বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ছাত্রকে (৯) বলাৎকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে থানা সুত্রে জানা যাই।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বলে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলা বাসুপাড়া ইউনিয়নের হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিশুশিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষার কার্যক্রম চলছে।
আশপাশের শিশু শিক্ষার্থীরা সেখানে থাকত। মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সেখানেই থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত বুধবার মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (৯) অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আহম্মেদ (২০) নিজ কক্ষে ডেকে নেন।
এ সময় তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে ছাত্রকে তাঁর কক্ষেই ধর্ষণ করেন তিনি। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রকে হুমকিও দেন তিনি। ধর্ষণের শিকার ছাত্র কৌশলে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে চলে যায়। পরে সে বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করে এবং মাদ্রাসায় আর যাবে না বলে অভিভাবকদের জানায়। বিষয়টি প্রথমে প্রকাশ না করলেও পরে তা প্রকাশ পায়।
বিষয়টি জানার পর বাগমারা থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে এবং বলাৎকার শিকার শিশুর সঙ্গে কথা বলে।
এ সময় শিশুটি বলাৎকার বর্ণনা দিলে গতকাল রাতে পুলিশ মাদ্রাসায় অভিযানে মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলকে পুলিশ আটক করে।
রাতে শিশুর বাবা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন , পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শিক্ষক নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।