বায়জিদ হোসেন, মোংলা, বাগেরহাটঃ
শুনতে কেমন একটা গল্পের মতো হলেও আসলেই ঘটনা পুরোটাই সত্যি, সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মোঃ একলাস শিকদার (৫০) দুইছেলে এবং দুই মেয়ের বাবা মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডে বসাবস করেন, তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সুন্দরবনের উপর নির্ভর করে নিজের ও নিজের পরিবারের জীবীকা নির্বাহ করেন তার একমাত্র আয়ের উৎস সুন্দরবন তিনি সুন্দরবনের উপর নির্ভর করে মাছ কাকড়া ধরে সংসার চালান। তিনি চলতি মাসের প্রথম দিকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রতিদিনের মতো সরকারি পাস পারমিট নিয়ে বৈধভাবে আড়াকল দিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গেলে কাঁকড়া ধরতে ধরতে এক পর্যায়ে উঁকি দিয়ে দেখেন বাঘের সামনে তিনি তার সামনেই বাঘ এক পযার্য়ে বাঘ তাকে ভেঁকসি মারেন, তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে তাকে যখন বাঘে ভেঁকসি মারেন তখন তিনি নিজের প্রানে বাঁচার আসা ছেড়ে দিয়েছেন,তার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন কান্ড আগে কখনো ঘটেনি তিনি একাই গেছিলেন সুন্দরবনে কাকড়া ধরতে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য। এক মুহুর্তের জন্য হলেও বাঘের চোখ থেকে নিজের চোখ এড়িয় নেননি,চোখে চোখ রাখেন এবং জোরে জোরে চিতকার করতে থাকেন এক পর্যায়ে বাঘ নিজেও ভেঁকসি মারতে থাকেন। একলাস শিকদার চিকতার দিতে থাকেন আর পিছনে হাঁটতে থাকেন, তার হাতে একটি মাত হাতিয়ার ছিলো গর্ত থেকে কাঁকড়া বের করার হাতিয়ার আড়াকল, বাঘের বেকছি যে কেউ দেখলেই গাবরিয়ে যাবেন এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়! বাস্তবমুখী কথা সেখানে তিনি একা নিজের প্রতি মনোবল নিজের প্রতি সাহস রেখে আল্লাহ উপর ভরসা রেখে বেঁচে ফিরে আসলেন, তিনি আরও বলেন” আমি যখন দেখলাম বাঘ আমাকে আক্রমণ করতে পারে তখন আমি পিছনে ফিরতে শুরু করলাম এবং হাতিয়ার দিয়ে গাছে পিটানি দিলাম এবং জোরে জোরে চিতকার করা শুরু করলাম, আমি একটা কথা সব সময় বিশ্বাস করতাম রাখে আল্লাহ মারে কে আমার সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা ছিলো, ঘটনাটি ঘটে জয়মনি বাজার ব্রিজ সংলগ্ন সুন্দরবনের পাসের একটি খাল রয়েছে যার নাম নুরা মল্লিকের জোলা/ খাল। পরিশেষে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
Leave a Reply