বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার বামনা উপজেলায় বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় সহকারী অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন পোদ্দার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২৯ আগস্ট বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজ সভাপতি আল ইমরান এক সভায় শিক্ষক পরিষদের সর্বসম্মত সুপারিশ ও সিদ্ধান্তে সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব অর্পণ করেন।
ইউএনও আদেশের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিখিল রঞ্জন পোদ্দার উচ্চ আদালতের দারস্থ হলে ইউএনও আদেশ বাতিল করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিখিল রঞ্জন পোদ্দারকে ৭ দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। এবং হাইকোর্ট তাকে ৬ মাস সময় দেন। বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস এবং বিচারপতি ফাহমিদা কাদের রুল নিসি এ আদেশ দিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাসিমা বেগম বলেন, ইউএনও মহোদয় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব হাবিবুর রহমানকে দিয়েছেন। এই হাবিবুর রহমানের চেয়ে আমি নাসিমাসহ নিখিল, গৌতম,পলি,ছগির সিনিয়র রয়েছেন। তাদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ না করায় আমি মর্মাহত। সিনিয়র হিসেবে নিখিল ও আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে অবশ্যই তা পালন করবো।
হাইকোর্ট থেকে পূনরায় দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিখিল রঞ্জন পোদ্দার বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ শূন্যপদে কলেজ গভার্নিং বডির মিটিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব দেন। কিন্তু হঠাৎ করে ইউএনও মহোদয় শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে ঢুকে শিক্ষকদের মধ্যে থেকে সিনিয়র বাদ দিয়ে হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব দেন যাহা নিয়ম বহির্ভূত কাজ।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি সভাপতি মো: আল ইমরান বলেন, আমি নিয়মিত অনুযায়ী অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
করেছি। হাইকোর্ট যদি সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ৬ মাসের বহাল রাখেন তাহলে আমি অবশই তাকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবো।