বাহুবলে দুগ্ধপোষ্য সন্তানের জননীর রহস্য জনক মৃত্যু।
এস এম মোবাশ্বির হোসেন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের বাহুবলে দুগ্ধপোষ্য সন্তানের জননীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে টানাটানি শুরু হয়েছে। এক পক্ষ দাবি করছে, ওই নারীকে ধর্ষণের পর মুখে বিষঢেলে ও গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আরেক পক্ষ বলছে, প্রবাসীর স্ত্রী ওই নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ময়না তদন্ত শেষে নিহত ওই নারীর লাশ দাফন করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিষাক্রান্ত নারীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নেয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তার (২২) এর সাথে তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী হারুনুর রশিদের পুত্র শাহ আলমের সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২২ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এদিকে, শাহ আলমের ভাই দুই সন্তানের জনক জানে আলমও সৌদি প্রবাসী। বর্তমানে সে দেশেই অবস্থান করছে। ইদানিং তার কুনজর পড়েছে বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়ার ওপর। তানিয়াকে প্রায়ই সে উত্যক্ত করতঃ। তানিয়া বিষয়টি শ্বশুর-শাশুড়িকে বারবার জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। জানে আলমের স্ত্রীকেও বিষয়টি জানায় তানিয়া। এ নিয়ে জানে আলমের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়াও হয়। স্ত্রী নিষেধ করলেও তার নিষেধ মানেনি জানে আলম।
এক সময় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। এতে তানিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জানে আলম।
এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্রের জননী তানিয়াকে বিষাক্রান্ত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন মঙ্গলবার ভোরে সিলেট হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত তানিয়ার মামা আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় গৃহবধূ তানিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেয় জানে আলম। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাহুুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহবধূর পিতৃপরিবার ও স্বামীর পরিবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।