মির্জ সাইদুল ইসলাম সাঈদ
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয়ের বাণী:
ইতিহাসের পুরোধা,বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির প্রাণ পুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ বুধবার ১৭ নভেম্বর ছিলো ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিন ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচীর সূচনা করেন।
পরে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ও দল মত নির্বিশেষে সকল ছাত্র ছাত্রীরা মাজারে পুষ্পত্ববক অর্পন করেন। এরপরই মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার উত্তরসূরীরা পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদ, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট,ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি,কমিউনিষ্ট পার্টি, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, টাঙ্গাইলের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অসংখ্য ভক্ত মুরিদান এবং টাঙ্গাইল জেলার আপামর জনসাধারণ মরহুমের মাজারে পুস্পস্তক অর্পনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ উপলক্ষে প্রতিবছর টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি এম এম আলী কলেজ কাগমারি টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী আয়োজন করা হয়।
মজলুম জননেতার উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন,বাংলা ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ফারাক্কা লংমার্চ ভাসানীর উল্লেখযোগ্য গণআন্দোলন। মাওলানা ভাসানীকে ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ওরফে "লাল মাওলানা" ১২ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে তার অসংখ্য ভক্ত ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। টাঙ্গাইলের মানুষ অন্তত এইটুকু বিশ্বাস করে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতি কখনোই ম্লান হবার নয়।