এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
শস্য ভান্ডারখ্যাত দিনাজপুরর খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মুক্ত ভাব এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে। আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজার অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিত অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন শবজি রোপনর প্রতিনিয়ত কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিরামপুর উপজেলা কষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চদ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজলার পর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়ন এবার ১৭ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিত আমন রোপন করা হয়। এর মধ্য অনক জমিতে আগাম জাতের হিরা-২ ও ধানী গোল্ডসহ অন্যান্য ধান রয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয় এ প্রর্যায়ে প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুটি সর্না, সর্না-৫, ব্রি-৩৪,৫১,৭১,৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।
বাদমুকা গ্রামের কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে হিরা-২ আগাম জাতের আমন রোপন করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন হার ফলন পেয়েছেন। আড়াপাড়া গ্রামের বুলবুল হাসন জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিত ধানী গোল্ড জাতের আমন রোপন করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি ২২-২৪ মন হারে ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণর পাশাপাশি বাজার ৮-৯শ’ টাকা মন দর কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বিঘার খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিত আবার আলু, কপিসহ শীতকালীন বিভিন প্রকার শবজি/ফসল রোপনের প্রস্তুতিও চলছে। মুকুন্দপুর ইউনিয়নর উপ-সহকারী কষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের হাতের কাছে রয়েছে। আগাম আমন ধানসহ লাভজনক ফসল আবাদ কৃষকদের সহায়তা এবং রোগ-বালাই ও দূর্যাগ প্রতিরোধ দিক নির্দশনা মূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।