এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি"-
শেখ হাসিনার দর্শন কৃষকের উন্নয়ন" এই প্রতিপাদ্যকে আসনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে অভ্যন্তরীণ সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহে বোরো মৌসুমে পৌরসভা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষক নির্বাচনের উম্মুক্ত লটারীর উদ্ধোধন করেন, প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু।
সোমবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলা কনফারেন্স সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের মৌসুমে পৌরসভা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষক নির্বাচনের উম্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল,খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান,চরকাই খাদ্য গুদামের (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান,প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ আর এম আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক হাফিজ উদ্দিন সরকার, উপজেলা চাউলকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মিলার রবিউল ইসলাম, হাসানুজ্জামান হাসানসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে নানা ধরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ধান বিক্রিতে পেয়েছেন অভাবনীয় মূল্য। দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদেরকে তাদের ধান সংগ্রহ ও সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান দৈনিক গণকণ্ঠকে বলেন, পৌরসভা ও প্রত্যেক ইউনিয়নে ধানের ফলন অনুয়ায়ী ৭টি ইউনিয়নে মোট ২১২৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে পৌরসভায় ২৩৬ মেট্টিকটন, ৭৯ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে,মুকুন্দপুর ইউনিয়নে ১১৯ মেট্রিকটন, ৪০ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে, কাটলা ইউনিয়নে ১৬৩ মেট্টিকটন, ৫৪ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে, খাঁনপুর ইউনিয়নে ৩৭৪মেট্টিকটন,১২৫ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে, দিওড় ইউনিয়নে ৩৬৭ মেট্টিকটন,১২২ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে,বিনাইল ইউনিয়নে ৪০২ মেট্টিকটন, ১৩৪ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে, জোতবানী ইউনিয়নে ৩৬৪ মেট্টিকটন ১২১ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে এবং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নে ৯৬ মেট্টিকটন ৩২ জন কৃষক বাচাই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক কার্ডধারী কৃষকের কাছ থেকে ৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে।