এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
দিনাজপুরের বিরামপুরে হিজরা সম্প্রদায়ের হাত থেকে জনসাধারণের হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে আলোচনা সভা করেছে ওসি সুমন কুমার মহন্ত।
উল্লেখ্যে যে, উপজেলার বিভিন্ন মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, গ্রামগঞ্জের বাসাবাড়িতে সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেয়ে জোরপূর্বক অধিক পরিমাণে টাকা আদায়সহ দীর্ঘদিন ধরে পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কৌশল হিসাবে হয়রানী করে আসছে হিজরা সম্প্রদায়।অনেক ক্ষেত্রে এই সব হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় নিজেরা নানা অঙ্গভঙ্গিসহ নিজেদের পরিধানের কাপড় চোপর খুলে পথচারী, যাত্রী ও বাসাবাড়িতে মারাত্বকভাবে অপমান অপদস্থ করে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
পথচারী, যাত্রী ও ভুক্তভোগীদের মতে, হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে বেশি টাকা দাবি করে। সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেলে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে পুরুষদের সামানে মা, বোন, স্ত্রী-কন্যা কিংবা ছেলে থাকলে এই চক্রটি তাদেরকে বেশি অপদস্থ করে। তাদের মতে, পুরুষরা উপায়ান্তর না পেয়ে সম্মান বাচাতে হিজরাদের চাহিদা পুরণে বাধ্য হন।
আলোচনা সভায় হিজরা নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, আমাদের কর্মের কোন সন্ধান নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তর আমাদেরকে নানাভাবে আশ্বাস দেই। তবে আজো কোন আশ্বাস পুরণ হয়নি। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে আর জোর জবরদস্তি চাঁদা তুলবে না এবং জন বিরক্তিকর কাজ করবে না বলে জানায়।
থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, হিজরাদের অত্যাচার, হয়রানী, অপদস্থের বিষয়টি নানাভাবে জেনে বুধবার রাতে হিজরাদের সাথে থানায় আলোচনা সভা করা হয়েছে। এ সময় হিজরাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে হয়রানী এবং তাদেরকে অপদস্থ করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তোমরা বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে মানুষদেরকে এভাবে হয়রানী করবে না। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তোমাদের জন্য একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।