বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব:) ইয়াছিন আলী হাসপাতালে প্রতিনিয়ত কাজে অনুপস্থিত থেকে নিজের নাজমা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে রোগি ও হাসপাতালের ডাক্তারগণের বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্বেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে তার বদলী হচ্ছেনা।
জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইয়াছিন আলী দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব:) পদে খাতা-কলমে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিনিয়ত হাসপাতালের কাজে অনুপস্থিত থাকেন। এতে হাসপাতালে আগত রোগি সাধারণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে এসে ভোগান্তির শিকার হন। অথচ, তিনি শহরের নতুন বাজারে নাজমা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার খুলে সেখানে সব সময় মেডিকেল পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকেন। দীর্ঘদিন বিরামপুর থাকার সুবাদে এবং নিজস্ব ক্লিনিক ব্যবসার কারণে তাকে কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস পূর্বে অন্যত্র বদলী করলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি আবারও বিরামপুর হাসপাতালে ফিরে আসেন।
হাসপাতালে আগত শহরের সাহেবপাড়া এলাকার রোগি নাসিমা বেগম, কলোনীপাড়া এলাকার রুবেল হোসেনসহ অনেকে জানান, অসুস্থতার কারণে হাসপাতালের ডাক্তার তাদেরকে রক্ত, মল-মূত্র পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের পরীক্ষাগারে গিয়ে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব:) ইয়াছিন আলীর দেখা পাওয়া যায়নি। এভাবে প্রতিনিয়ত রোগিরা ভোগান্তির শিকার হন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ আব্দুল্লা আল শোভন বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব:) ইয়াছিন আলী ঠিক মতো অফিস করেন না। তার বিরুদ্ধে রোগি ও ডাক্তারগণের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বহুবার তাকে সতর্ক করা সত্বেও তিনি নিয়মিত কাজ করেন না।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছিএবং সে প্রেক্ষিতে তাকে বদলী করা হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আবারও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ সেপ্টে:) বেলা ১১টায় হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব:) ইয়াছিন আলীর চেয়ার ফাঁকা দেখে মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।