গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও ধারণ ও পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক মো. নাঈম মৃধার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে প্রেমিক নাঈমসহ আরও দুজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মো. নাঈম মৃধা (২৫) উপজেলার তেলিহাটি গ্রামের মো. খোকন মৃধার ছেলে। সে উপজেলার ফরিদপুর এলাকায় একটি স্টেশনারি দোকান চালায়। তাঁর সঙ্গে ভিডিও ধারণে অভিযুক্ত দুই সহযোগী হলেন, একই গ্রামের মজিবর মৃধার ছেলে মো. সজিব মৃধা এবং মৃত কাদির মৃধার ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অনেক সময় অভিযুক্ত নাঈমের দোকান থেকে খাতা কলম কিনতে যেত। এভাবে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ভুক্তভোগীকে নিয়ে অভিযুক্ত মো. নাঈম মৃধা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রিসোর্টে গিয়ে দেখা সাক্ষাৎ করত। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার একটি রিসোর্টে যায়। এরপর সেখানে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং সেটির ভিডিও ধারণ করে রাখে।
এরপর থেকে ভুক্তভোগী নাঈম মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না চাইলে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় নাঈম।
ভুক্তভোগী জানান, ভিডিও ধারণের খবরটি জানার পরপরই অভিযুক্ত নাঈমকে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার চাপ ভুক্তভোগী পরিবার।
হঠাৎ করে গত দুই দিন আগে ফোন দিয়ে নাঈম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলে। দেখা না করলে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মো. নাঈম মৃধার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভনে মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে নাঈম। আর এই সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রাখে অভিযুক্ত নাঈম মৃধা। গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানতে পারি। পরে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি। পরদিন মঙ্গলবার নাঈমের এক আত্মীয়ের কাছে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ ছাড়া আইনের আশ্রয় নিলে ভুক্তভোগীকে অপহরণসহ খুন জখমের হুমকি দেয়।
শ্রীপুর থানার ওসি (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।