বিয়ে না দেয়ায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা
মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ
চিরিরবন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধি-
পরিবারের কাছে বিয়ের বায়না ধরেন ১৭ বছর বয়সি সোহেল রানা। অল্পবয়সে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান বাবা। এতে অভিমান করে রাতের আধারে নিজের পরিধেয় শার্ট দিয়ে জামগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোহেল রানা ওই এলাকার দবিরুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় টাইলস মিস্ত্রি।স্থানীয় অমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চেয়ারম্যান হেলাল সরকার বলেন,‘সোহেল রানা বেশ কয়েক মাস ধরে পরিবারের কাছে নিজে বিয়ে করবেন বলে বায়না ধরেন। বয়স অল্প হওয়ায় তাকে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান পরিবারের লোকজন। পরে বুধবার কাজে শেষে রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ করতে থাকে। খোঁজা এক পর্র্যায়ে বাড়ি থেকে পূর্ব পাশে জামগাছে ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে রাতেই চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।
পরিবারে বরাত দিয়ে চিরির বন্দর থানার এস আই এমদাদ হোসেন বলেন,‘বুধবার দিবাগত গভীর রাতে পরিবারের অজান্তে বাড়ি থেকে পূর্ব দিকে একটি নালার পাশে জাম গাছের ডালে নিজের গায়ে শাট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার বলেন,‘ মূলত বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। মৃত্য সোহেল রানার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। রাতেই থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।