মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি
শার্শার বৃত্তিআচড়ায় পারিবারিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে একটি মাছের ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে ২ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বৃত্তিআচরার হাটু ভাঙ্গার ঘের এলাকার রিজাউল ইসলামের ২৫ শতক আয়তনের একটি ঘেরে এ গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়। এছাড়াও ঘেরের পাশে বিলেও এ গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে দুর্বৃত্ততারা।
বিষক্রিয়ায় ঘেরে চাষ করা বিপুল পরিমাণ রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, মৃগেল, তেলাপিয়া ও গ্রাম্য শিং, টাকি, শোল মাছ মরে পানির উপরে ভেসে উঠে।
ঘটনায় রেজাউল বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার গ্রামের মোস্তফা ও মামুন পারিবারিক দন্দের জেরে এবং আমার ঘেরের ও বিলের মাছ নিজের জমিতে ঢুকিয়ে নেওয়ার জন্য নিজের জমির জাল উচু করে এই গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে। তিনি আরো বলেন আমি ভোরে ঘেরে এসে দেখি পানিতে মাছ লাফালাফি করছে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাছের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যায় এবং সব মাছ মারা যায়। সকাল থেকেই মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে এবং মাছ মরে পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।
প্রতিবেশি কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল রেজাউলের ঘেরে। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
স্থানীয় ঘের মালিক লিটন হোসেন বলেন, গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ মারায় রেজাউলের ১.৫-২ লাক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও রেজাউলের ক্ষতিপূরণ দাবি জানায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি রেজাউলের ভাই মোস্তফা বলেন, এই বিলের একটি পতিত জমি লিজ নিয়ে রেজাউল হোসেন মাছ চাষ শুরু করে। ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। তার এতো কষ্টের ফসল যারা নষ্ট করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া এ এস আই মুরাদ বলেন, আমরা ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং অভিযুক্ত মোস্তফা ও কামালের বাড়িতে গেলেও তাদের দেখা পায়নি