মোঃ সোহেল রানা (বরগুনা):
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেতাগীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম(এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রোল। অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া পেট্রোলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান না থাকলেও তা উপেক্ষা করেপ্রশাসনের নাকের ডগায় বিভিন্ন এলাকায় মোড়ে মোড়ে বোতলে পেট্রোল ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। যে কোন সময় দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনের সূত্রপাত ও বিস্ফোরন হয়ে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
বেতাগী পৌর শহরের মধ্যবাজার,বাসস্ট্যান্ড,কামারপট্রি,কচুয়া খেয়াঘাট,লঞ্চ ঘাট সহ দেদারে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস ও পেট্রোল। ডাক্তার চেম্বার,গাছতলায়,মুদির দোকান,হোটেল, ক্রোকারিজের দোকান,ফলের দোকান,সেলুন,মোটরসাইকেলের গ্যারেজ,কাঁচামালের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে।এ ছাড়া পৌরসভার বাইরে নিয়ামতি,পোলের হাট, ডিসির হাট,মোকামিয়া,সোনারবাংলা, বঙ্গবন্ধু,
কাইয়ালঘাটা,জলিসাবাজার,কদমতলা,ছোটমোকামিয়া,মোকামিয়া মাদ্রাসা বাজার,বাধঁঘাট বাজার,খানেরহাট,মায়ারহাট,ফুলঝুড়ি বাজার,কুমড়াখালি,চান্দুখালি,কাউনিয়া,বদনী খালী বাজারসহ প্রতিটি ছোট-বড় হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার।রাখা হচ্ছে খোলা জায়গায়,গাছতলায়।
এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন দোকানের সামনে সিলিন্ডার ও পরিত্যক্ত বোতলে সাজিয়ে রাখা হয় দাহ্য পদার্থ পেট্রোল। এলপিজি বিক্রির ক্ষেত্রেঅগ্নি নির্বাপক সহ যেসব নিরাপত্তামুলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত তার একটিও কোথায় মানা হচ্ছে না।সেই সঙ্গে নেই বৈধ লাইসেন্স।মোকামিয়া বাজারের মুদি দোকানি মোঃ রফিক বলেন,আমি দোকানের ট্রেডলাইসেন্স আবেদন করেছি। অনেক ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেডলাইসেন্স ও নেই।এলপি গ্যাসে সিলিন্ডারের বিক্রিতে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্সের,পরিবেশ লাইসেন্স বিষয় জানেন না তিনি।বেতাগী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লাতফ বলেন,গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই তাকে ফায়ার,পরিবেশ ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হবে।নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে।সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা বিপজ্জনক।এছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্যপদার্থ বিক্রির কারনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বা প্রানহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতি প্রভাবের কারনে আমরা আমাদের সঠিক কার্যক্রমপরিচালনা করতে পারি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, দাহ্য পদার্থ ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে।যত্রতত্র বিক্রির কোন সুযোগনেই।তিনি বলেন আমার কাছে লিখিত আবেদন দিলে প্রয়োজনীয় আইনানুগব্যবস্থা নেয়া হবে।