বেতাগীতে টিসিবি’র পণ্য বিক্রিতে মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি,বিক্রি সাময়িক বন্ধ
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে টিসিবি’র পন্য বিক্রিতে অনিয়মেরে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী ট্রাকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি করার কথা থাকলেও ডিলাররা নিজ দোকানে বসেই পন্য বিক্রি করছেন। এছাড়া কালোবাজরেও পন্য বিক্রি করার অভিযোগ রযেছে। এসব অভিযোগে পন্য বিক্রি বন্ধ করে দেন ইউএনও।
জানা গেছে, পবিত্র রমজানে ভোক্তাদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন, পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুর বিক্রির জন্য বেতাগীতে শহরের কলেজ রোডস্থ মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স আল্লাহর ভরসা এন্টারপ্রাইজ এবং সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বেতাগী গ্রামের মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজকে ডিলার নিয়োগ করে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি)। এরমধ্যে আল্লাহর ভরসা এন্টারপ্রাইজ ও সরদার এন্টারপ্রাইজকে এ রমজানে নতুনভাবে ডিলারশীপ দেয়া হয়। ডিলাররা ইতোমধ্যে কয়েক কিস্তি পন্য টিসিবি থেকে উত্তোলন করেন। এসব পন্য ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা থাকলেও তারা স্ব স্ব দোকানে বসে পন্য বিক্রি করে আসছেন। এলাকাবাসী জানান, ডিলারদের কাউকেই ট্রাকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ পন্য বিক্রি (ট্রাক সেল) করতে দেখা যায়নি। এমন অভিযোগে ইমন এন্টারপ্রাইজের পন্য বিক্রি বন্ধ করে দেন ইউএনও মো: সুহৃদ সালেহীন। এ ছাড়া অন্য ডিলাররা পণ্য উত্তোলন করলেও তাঁদের বিক্রয় কার্যক্রম তেমন চোখে পড়েনি। এসব ডিলারদের বিরুদ্ধে পণ্য উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। শহরের কলেজ রোডস্থ মেসার্স আল্লাহর ভরসা এন্টারপ্রাইজ ডিলার পয়েন্টে পন্য বিক্রি করার সময় সাসিক মাটি আমার সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান ক্রেতাদের লাইনের ছবি তুললে ডিলার সোহেল আমীন হাওলাদার তার মোবাইল জোর করে নিয়ে যায়। পরে বেতাগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ উক্ত মোবাইল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন।
মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো: সেলিম আহমেদ বলেন, ইউএনও স্যারকে জানিয়ে আমার ঘরে বসে পন্য বিক্রি করেছি তবে বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে নীতিমালা অনুযায়ী ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করব। ইউএনও স্যারের নির্দেশে আপাতত পন্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী কার্যনির্বাহী মো: শহিদুল ইসলাম মুঠাফোনে বলেন, উপজেলা প্রশাসন টিসিবির মালামাল বিক্রির বিষয়টি তদারকি করছেন। প্রতিটি পরিবেশকের বরাদ্দের পরিমাণ চিঠি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। ডিলার পয়েন্টে পন্য বিক্রির কোন নিয়ম নেই। সকল পন্য ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। কোনো ডিলার নীতিমালা লঙ্ঘন বা কালোবাজারে পন্য বিক্রি করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার জামানতসহ ডিলারশীপ বাতিল করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, ডিলারদের নীতিমালা অনুয়ায়ী পন্য বিক্রি করতে নিদের্শনা দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পন্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, টিসিবি পন্য বিক্রির বিষয়ে আমারা কিছুই জানিনা। এ পন্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। ট্রাকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্রির কথা থাকলেও তারা নিজের দোকানে বসে ক’জনের কাছে বিক্রি করে বাকি কালোবাজারে বিক্রি করার খরবও পাচ্ছি। তাই আমি নীতিমালা অনুযায়ী পন্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
Leave a Reply