বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামে (গামছা)বাবলু বাহিনীর ৫ সদস্য আটক
মোঃ মেহেদী হাসান রাজু বেনাপোল প্রতিনিধি
তারিখ ১৫।০১।২০২১রোজ শুক্রবার
যশোরের বেনাপোল সীমান্তবর্তী পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছেন (গামছা)বাবলু বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ শে (ডিসেম্বর-২০) বালুন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে ভুক্তভোগী জাকির জানান, বিপ্লব,শিমুল স্কুল মাঠে বসে ছিলাম এমন সময় বাবলু,পিতাঃ রাহাজান গ্রামঃ মহিষাকুড়া, তার সঙ্গীয় গামছা বাহিনীর, সদস্য সলেমান,সাইদুল,কামাল,আরব,মিলন,রানা সহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে আমাদের কাছে এসে বাবলু আমাকে বলে আমার মাল ধরীয়ে দেওয়ার জন্য লাইনম্যানি করছিস বলেই সলেমান পিস্তল বের করে বাবলুকে দেয় এবং আমাকে গুলি করে দিতে চায় তখন আমি বলি আমি কিছু জানিনা কিন্তু সে কথার মধ্যেই আমার মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আমার মাথা ফেটে গেলে আমি চিৎকার করলে আমার ভাইপো শিমুল,বিপ্লব ঠেকাতে গেলে তাদের রড দিয়ে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয় এর পর দিন জুলফিকার (জুলু) গামছা বাবলু বাহিনীর বাবলুর কাছে মারামারি কেন হইছে জানতে চাইলে জুলুর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালাই গামছা বাবলু বাহিনীরা তার শরীরে গরম তেল দিয়ে ঝলশে দিয়েছে বর্তমান জুলু খুলনা গাজী মেডিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি আছেন, এছাড়াও বালুন্ডা সিন্ডিকেট মোড়ের কাঠ ব্যবসায়ি ইমানুর,,সেতাই গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে মাসুদ,সহ অনেক মানুষকে তারা দিনে দুপরে মারধর,ছিনতাই সহ মাদক ব্যবসায়া চালিয়ে যাচ্ছে। বালুন্ডা গ্রামের শরিফুল জানান গামছা বাবলু বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললেই মারধর করে পিস্তল ঠেকাই এই ভয়ে সাধারন মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাই না কেও কিছু বললেই তাকে ধরে মার দেই,,,এদিকে সরেজমিনে গামছা বাবলু বাহিনীর কর্মকান্ড সস্পর্কে জানতে চাইলে গ্রামবাসি ভয়ে কোন কথা বলেননি। পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান হাদিউজ্জামনের কাছে গামছা বাবলু বাহিনী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার জানা নাই,,পক্ষান্তরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান চেয়ারম্যানের কাছে গত ২০ দিন আগে বিচার দিয়েও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ই জানুয়ারি রাত ৮ টার সময় মন্টু বিশ্বাস বালুন্ডা বাজারে গেলে তাকে ধরে ইট,টর্স লাইট দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে গামছা বাবলু বাহিনী,বর্তমান তিনি শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সর্বশেষ মারামারি ঘটনার কেন্দ্র করে ১৪/০১/২০২১ ইং তারিখে বেনাপোল পোর্ট থানায় ভুক্তভোগী পরিবার একটি এজাহার দাখিল করেন যার মামলা নং নং-১৪/০১/২০২১ইং। এ ব্যাপারে , বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মামুন খান বলেন, উক্ত মারামারি মামলার ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে আমি সাথে সাথে আসামীদ্বয়কে আটকের ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি,মামলার রাতেই ১০ আসামির মধ্যে ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি আগামীকাল সকালে যশোর জেল হাজতে পাঠানো হবে এবং বাকি আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মোবাইল ০১৭১১৯৪৭৮৭১