বেনাপোল কাস্টমসে আমদানী নিষিদ্ধ ভায়াগ্রার চালান আটক
তারিখ ২৪/০৬/২০২১রোজ বৃহস্পতিবার
মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মিথ্যা ঘোষনায় আমদানি করা ২৬ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
বুধবার(২৩জুন) সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার ভায়াগ্রা চালান আটকের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন ,কাস্টমস এ সংক্রান্ত একটি পত্র তাদের দিয়ে পণ্য চালানটি নিজেদের জেম্মায় নিয়েছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন। এর আগে গত ২০ জুন বিকালে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নাম্বার পণ্যগার থেকে ভায়াগ্রা চালানটি জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা। দুই দিন ল্যাবে পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় ভায়াগ্রা নিশ্চিত হয় কাস্টমস সদস্যরা।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের মামনি এন্টার প্রাইজ। পণ্যটি বন্দর থেকে ছাড় করানোর চেষ্টা করছিলেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিন ইমপোর্টস এন্ড এক্সপোর্টস।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, গত ৩১ মে আমদানি কারক মটরপার্টস এন্ড আদার্স ঘোষণায় ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজ পণ্য আমদানি করে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নাম্বার পণ্যগারে রাখেন। পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষনে দেখা যায় ৩০১ প্যাকেজের মধ্যে ১১৪ নাম্বার প্যাকেজে পাউডার জাতীয় পণ্য ২৬.২১ কেজি রয়েছে। পরে সেটি কাস্টমস হাউজের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে ভায়াগ্রা সনাক্ত হয়। আমদানিকৃত পণ্যটি যেহেতু আমদানি নিষিদ্ধ সেহেতু জনস্বার্থে নিরাপত্তার জন্য ৪২ নাম্বার পণ্যগার থেকে বন্দরের অনুমতি নিয়ে কাস্টমসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, এক ধরনের দূনীতিবাজ চোরাচালান ব্যবসায়ী ছদ্দ বেশে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ পথে মিথ্যা ঘোষণায় ভায়াগ্রা পাচার করে আসছে। এর আগে ২০১৯ সালে বেনাপোল বন্দরে সাড়ে ১২ কোটি টাকা মুল্যের আড়াই মেঃটন ভায়াগ্রা আটক করে কাস্টমস। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা দূর্বল হওয়ায় বৈধ পথে থামেনি ভয়ানক এ মাদক দ্রব ভায়াগ্রা আমদানি।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১