বেনাপোল কাস্টম বোল্ড ভেঙ্গে সোনা চুরির ঘটনা আরো ২জন ২দিনের রিমান্ডে
তারিখ ১৯।০১।২০২১
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি
২০১৯ সালের বহুল আলোচিত বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ১৯ কেজির অধিক পরিমাণ সোনা চুরির ঘটনায় আরও দু’জনকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রিমান্ড নেওয়া আসামিরা হলেন, কাস্টমসের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ভল্ট ইনচার্জ) শহিদুল ইসলাম ও আসামি অলিউল্লাহ।
আসামি শহিদুল ইসলাম বরিশাল অগৈলঝাড়ার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব মৃধা ও অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বকসার চারুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
রোববার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য বিগত বছরের যশোরের সব চেয়ে আলোচিত ঘটনা ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরেরা ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ টাকা। এছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো অক্ষত ছিল। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গোডাউনে সাবেক কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
তাদের দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী ওই দুই সাবেক গোডাউন ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম ও অলিউল্লাহকে গত ৭ জানুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে আটক করে। এরপর ওই দুইজনের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
রোববার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে গত এক বছরে এ বিপুল পরিমাণে সোনা চুরির ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে দফায় দফায় তাদেরকে রিমান্ড নিলেও চুরি হওয়া সোনার কোন হদিস মেলেনি এখনো।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে মামলাটির তদন্তভার যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তারা বলছেন তারা সার্বিকভাবে সোনার চুরির ঘটনা উদ্ঘাটন জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারিখ ১৯/০১/২০২১
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১