আতিকুর রহমান গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার, সেই সঙ্গে অবৈধভাবে অস্ত্রসহ তিনজন দেহরক্ষী নিয়োগ করে এলাকায় অস্ত্র দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক মেয়র প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন সরকার ওরফে রুবেলকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১২ /এ সড়কের ৩ নম্বর বাসার ৪ এ/৪বি ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রুবেল টঙ্গীর মৃত মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে তিনি। বর্তমানে তিনি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে বসবাস করেন। গ্রেপ্তারকালে তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল বক্স, দুটি পিস্তল কভার, একটি পিস্তলের লাইসেন্স ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মেজবাহ উদ্দিন সরকার ওরফে রুবেল তাঁর ফেসবুক আইডিতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতির ছবি আপলোড করত। পরে গোয়েন্দা নজরদারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নোমান আহমেদ বলেন, রুবেল ফারুকসহ দুজন দেহরক্ষী নিয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করত। সেই সঙ্গে রুবেল এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপলোড করত।
এএসপি নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুবেলের লাইসেন্স করা অস্ত্র থাকলেও তা অস্ত্র আইনের নিয়ম ভঙ্গের কাজে ব্যবহার করা হতো। সেই সঙ্গে মো. ফারুকসহ তিনজন অবৈধ অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়োগ করে আধিপত্য বিস্তার করত।
রুবেলের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা করে ফেল করেন। তাঁর কোন রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মেজবাহ উদ্দিন সরকার ওরফে রুবেল এবং পলাতক ফারুকসহ তিনজন দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এএসপি নোমান।