বোরহানউদ্দিনে প্লাবিত সাড়ে ৩ হাজার ঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান : অনেক কাঁচা সড়ক বিলীন।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোর কারণে মঙ্গলবারে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অন্তত ৩ হাজার ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া হাকিমুদ্দিন বাজারের প্রায় দুইশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মেঘনা সংলগ্ন হাসান নগর ইউনিয়নের এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার কাঁচা সড়ক ধসে গেছে। উদয়পুর-হাকিমুদ্দিন পাকা সড়কের ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে।
স্থানীয় হাকিমুদ্দিন বাজার তলিয়ে দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। নদী সংলগ্ন ৪ ইউনিয়নের পুকুর ও ঘেরের ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ চলে গেছে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাকিমুদ্দিন রুহুল আমিন হাজি, উজ্জ্বল হাওলাদার জানান, ২ শতাধিক ব্যবসায়ীর প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া লঞ্চঘাটের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাসাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার জানান, ওই ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাইরের অংশে ও বেড়িবাঁধে বাস করা প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া হাকিমুদ্দিন-মৃজাকালু কাঁচা সড়ক অধিকাংশ স্থান দিয়ে ধসে গেছে।
টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমুদ্দিন টু খাসমহল কাঁচা সড়ক ধসে গেছে।
পক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, তার এলাকার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দার জানান ৬, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ শত পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়।
এছাড়া পৌর এলাকার ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কয়েকশত পরিবার প্লাবিত হয়েছে বলে পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, ইয়াস মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।