বড়লেখায় রুবেল হত্যা,আর কোন হত্যা দেখতে চাই না প্রতিবাদ সভায় বক্তারা
মোঃ জাকির হোসেন (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
বড়লেখার কেছরিগুল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আলীর নাতি রুবেল আহমদ রাজমিস্ত্রীর কি অপরাধ ছিলো। রুবেলকে দিন দুপুরে প্রকার্শে লোকজনের সম্মুখে দা দিয়ে কুপিয়ে ও রঢ দিয়ে চোখে আগাত করে হত্যা করা হলো। রুবেলের এ হত্যা কেছরিগুল সহ বড়লেখা বাসি মেনে নিতে পারছে না।
গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার আছরের নামাজের সময় রুবেলকে নির্মম ভাবে তাকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আলীর নাতি রুবেলের হত্যার প্রতিবাদে বিট পুলিশিং সভায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছেন এলাকাবাসী । প্রতিবাদ সভায় এলাকাবাসী বলেন শান্তি প্রিয় কেছরিগুলকে আর অশান্ত দেখতে চাই না আর কোন হত্যা দেখতে চাই না। প্রকৃত আসামির তারা শান্তি দেখতে চায় আর নিরপরাধী লোকদের মামলা থেকে অব্যাহতি চান। প্রতিবাদ সভায় এলাকাবাসী কেউ হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীর নামটি ও তারা মুখে আনেননি এমন ভয়ঙ্কর হত্যার সাথে জড়িতরা।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও পৌর কাউন্সিল রেহান পারভেছ রিপনের সঞ্চালনায় কেছরিগুল জামে মসজিদের সম্মুখে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন বড়লেখা পৌর মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী, বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ এ কে এম হেলাল, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ,সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য ফয়জুর রহমান, ফারুক আহমেদ মোহরী সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আলীর নাতি রাজমিস্ত্রী রুবেল আহমদকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। ঐ দিন রাতে রুবেলের ছোট ভাই ফয়সল আহমদ বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় মামলা করেন এতে ইউ পি সদস্য সাবুল আহমদ ১নং ও তার সহোদর এ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাব ২ নং আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।