ভাইয়ের মুক্তি কামনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করেছেন আটলান্টার শিল্পী ইউসুফ
হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি:যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে বসবাসরত শিল্পী ইউসুফ বার্তা সংস্হা বাপসনিউজকে বলেছেন,
ভাইয়ের মুক্তি কামনায় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনায় আমার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ শাহ আলী থানার অন্তর্গত মিরপুর ১নং, সেক্টর – ১, ই – ব্লকের নিজ বাসা থেকে স্থানীয় এক মসজিদ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে হেরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার কারসাজি এবং নির্দেশে ও র্যাব ৪ এর কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি ষড়যন্ত্রমূলক, বানোয়াট ও সাজানো অস্ত্র মামলার দায়ে গ্রেফতার করেন, যা তাদের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় সুস্পষ্টভাবে রেকর্ডিং এর মাধ্যমে ধরা পড়ে । ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদেরকে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা ও র্যাব ৪ এর কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে বেশী দৌড়ঝাঁপ করলে তার ভাইকে সাজানো বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রসফায়ারে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম খোকন এর বড় বোন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা প্রবাসী শিল্পী ইউসুফ বাপসনিউজের এর কাছে দেয়া তার বক্তব্যে বলেন,আমি শিল্পী ইউসুফ। বর্তমানে আমি আমেরিকায় বসবাসরত আছি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার আপন ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনকে মিরপুরে তার নিজ বাসভবন থেকে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা সাজানোর মাধ্যমে বাসা থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব ৪ এর অফিসার আক্তারুজ্জামান এর নেতৃত্বে। এই অফিসার নিজেই একটি দেশিয় অস্ত্র রেখে সেটি আবার পুনরায় উদ্ধার করার যে নাটকটি সাজিয়েছে সেটি আমার ছোট বোন নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেন। সে সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠলে তাকেসহ পরিবারের অন্যান্য মহিলাদের গায়ে হাত দেয়ার মাধ্যমে মারধরের চেষ্টা করা হয় যা আমাদের বাসায় সক্রিয়রত সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে রেকর্ড হয়। আমার ছোট ভাইকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিডিও ধারণ রত অবস্থায় সিসিটিভি ক্যামেরা গুলোকে তারা ভেঙে ফেলে, যেই ফুটেজগুলো এখনও আমাদের হাতে রয়েছে। এই ভিডিও গুলো নিয়ে আমরা অতি শীঘ্রই একটি সংবাদ সম্মেলন করার পরিকল্পনা করছি। যেই মামলার নাটকটি সাজানো হয় এটি একটি সুসংগঠিত চক্রের মাধ্যমে করা হয় ও সেই চক্রের মূল হোতা হচ্ছেন মৃত বাচ্চু মাঝির স্ত্রী, তার ভাই আক্তার মাঝি ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। যা বাস্তবায়ন করেন অফিসার আক্তারুজ্জামান এর মাধ্যমে। তার জলজ্যান্ত প্রমান হচ্ছে সেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ গুলো। ইতিপূর্বেও বাচ্চু মাঝি জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের বাড়ির জমি নিয়ে মতবিরোধের জেরে অবৈধভাবে উৎখাতের চেষ্টা চালায় যে মামলাটি বিগত ৩৫ থেকে ৪০ বছর যাবৎ চলমান ও সেই সাথে আমার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনের নামে অপর আরো একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়া হয়, যেটি এখনও পর্যন্ত চলমান। সে জমি নিয়ে মামলার জেরে ও স্থানীয় এক মসজিদ পরিচালনা কমিটির বৈধ নির্বাচনে হেরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে র্যাব ৪ এর অফিসার আক্তারুজ্জামান এর যোগসাজশে এই অবৈধ অস্ত্র মামলা গুলো আবারও পুনরায় প্রদান করেন।
বাচ্চু মাঝির ছোট ভাই আক্তার মাঝি মিরপুরের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও বেহাল অবস্থা পুরো মিরপুর এলাকা বাসিন্দাদের।
আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে এই নিকৃষ্ট ও জঘন্যতম অপরাধের সুনির্দিষ্ট তদন্তের মাধ্যমে সেই ঘৃণ্যতম অপরাধীদের শাস্তির দাবি ও আমার নিরপরাধ ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনকে সুস্থ অবস্থায় আমার মাঝ্ ফিরিয়ে দেয়ার আকুল আবেদন ও প্রার্থনা জানাচ্ছি ।