1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
ভাবছি এই ঈদে নতুন কাপড় কিনতে পাড়বো না, নতুন কাপড়ের আশাটা পূরণ করলো ইব্রাহিম - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ad

ভাবছি এই ঈদে নতুন কাপড় কিনতে পাড়বো না, নতুন কাপড়ের আশাটা পূরণ করলো ইব্রাহিম

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬৮ Time View

ভাবছি এই ঈদে নতুন কাপড় কিনতে পাড়বো না, নতুন কাপড়ের আশাটা পূরণ করলো ইব্রাহিম

ইমাম হোসেন হিমেল,
এই বছর ঈদে মনে করছিলাম নতুন কাপড় পড়তে পাড়বো না স্বামী অসুস্থ অনেক দিন ধরে তাঁকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ছেলেরা প্রাই নিঃস্ব। ছোট ছোট নাতনিদের বায়না শুনে আড়ালে কাঁদতাম কে দিবে টাকা তবে ভরসা ছিলো ঈদের আগে ইব্রাহিম আসবে কারণ প্রতিবছরেই এই সময়ে সহযোগিতা করে ইব্রাহিম। স্বামীর জন্য লুঙ্গি আমার শাড়ী বউয়ের শাড়ী দিলো ইব্রাহিম এখন নাতনিদের টা কস্ট হলেও দেওয়া যাবে এভাবেই বলছিলেন অনন্তপাড়ার শামসুন্নাহার।

প্রতি রোজায় উদ্রগতির বাজারে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখনই এলাকার সিংহভাগ মানুষের জন্য দেবদূত হয়ে আসেন এই দানবীর। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে নিম্নঅয়ের মানুষের জন্য শাড়ী লুঙ্গি পাঞ্জাবী নিয়ে আসেন তিনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে আসহায় দরিদ্র পরিবারের তালিকা করে পৌঁছে দেন তাদের ঈদের উপহার। প্রতিবছর ক্যামেরার পিছনে থেকে এই সহযোগিতা করলেও এবারে প্রকাশ্য নিজের হাত থেকে বিতরণ করেন এইসব শাড়ী লুঙ্গি পাঞ্জাবী।

এই দানবীর নিজে বিলাসিতা না করে ঈদুল আজহা ঈদুল ফিতর সহ এলাকার সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। অসুস্থ মানুষের বিপদে অর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন এই দানবীর। এছাড়াও তিনি ডালবুগঞ্জ ধুলাসার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মসজিদে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি অনুদান দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ক্যামেরার আড়ালে থেকেই এই উপহার দিয়েছেন এই দানবীর তবে এবারে নাড়িরটানে সবাইকে দেখার ইচ্ছে জাগলে, নিজেই আসেন নিজ এলাকায়
(১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) সকালে তার নিজ বাসভবনে বসে ধুলাসার ইউনিয়নে ২০০০ শাড়ী ৫০০ লুঙ্গি বিতরণ করেন পাশাপাশি ডালবুগঞ্জের ৯ নং ওয়ার্ডের মানুষের হাতেও পৌঁছে দেন এই শাড়ী লুঙ্গি।

দীর্ঘ সময়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে অল্পতেই এই উপহার পেয়ে খুশি এলাকার শতশত মানুষ করছেন তার সুস্থতা কামনা তিনি এখন এইসব মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল।

শাড়ী বিতরণ প্রসঙ্গে দানবীর ইব্রাহিম বলেন, আমি ছোট থেকেই এখানে বড় হয়েছি এখানকার মাঁটি এখনও আমার গায়ে লেগে আছে, ব্যবসার কাজে এলাকার বাহিরে থাকলেও আমার মন পড়ে আছে এই গায়ের মানুষের কাছে। মানুষের দুঃখ কস্ট আমি ছোট বেলা থেকেই সহ্য করতে পাড়িনা এখন আল্লাহ তৌফিক দিয়েছে নিজে বিলাসিতা না করে তাদের সাথে ঈদ উপভোগ করি। এতে আমার মায়ের মুখের হাসি দেখতে পাই শাড়ীটা অসহায়দের হাতে দিলে যে হাসিমাখা মুখ দেখতে পাই তা এই পৃথিবীর সব চেয়ে দামী মনে হয় আমার কাছে। আসলে মানুষকে দেখাতে আমি এই দান করিনা এইজন্যই দীর্ঘদিন ক্যামেরার আড়ালে ছিলাম। আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখে এইভাবে পাশে থাকবো মানুষের ইনশাআল্লাহ।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি