ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে আকাশ ছোঁয়া কলার দাম
ময়মনসিংহ-প্রতিনিধি: তৌহিদুল ইসলাম সরকার,
ময়মনসিংহের-নান্দাইল উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারগুলোতে হঠাৎ করে কলার অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় ব্যবসায়িকসহ সাধারণ বিক্রেতা যে যেভাবে সম্ভব ভোক্তাদের কাছ থেকে দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে দিশার হয়ে পড়েছেন রোজদারি ভোক্তা সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষ। এ রমজান মাসকে লক্ষ্য করে ব্যবসায়িকরা বাড়তি সুযোগ আদায় করে নিচ্ছেন। সাধারণ রোজাদারি ভোক্তাদের কাছ থেকে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থানে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের কলা সাজিয়ে রেখেছেন।
এর মধ্য রয়েছে দেশীয় সব্রি কলা, গ্যাড়াকলা,চাম্পা কলা ও সাগর কলার সংখ্যায়ই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাঁচা কলার চরিও রাখা হয়েছে।
তবে সেগুলো ঘরে ভিতরে অথবা গর্তে রেখে কেমিক্যাল এর মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) উপজেলার জাহাঙ্গীরপুরে ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার সমূহেও কলার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি।
এক হালি সব্রি কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গেরাকলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট সাইজের এক ডর্জন চম্পা কলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সাগর কলা এক হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো বলে স্থানীয়দের অভিমত।
দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারের ভোক্তা মুদি দোকানী আব্দুর রশিদ, চা বিক্রেতা শরিফ মিয়া, ও ওষুধ ব্যবসায়িক বিল্লাল হোসেন বলেন, রমজানের আগেও কলার হালি ছিল, ১৫ থেকে ২০ টাকা, রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায়, ব্যবসায়ীরা যার যার মত দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মত নিম্ম আয়ের রোজদার লোকেরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য সোহরাব উদ্দিন রমজানে কলার দাম বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মত রোজদারি গ্রাহকদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কোথায়ও অতিরিক্ত কলার দাম নেয়া হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply