ভোলায় ব্যাটারি চালিত যানবহনে এলইডি লাইট ব্যবহারে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
(স্টাফ রিপোর্টার) রাকিব হাওলাদারঃ
ভোলার বিভিন্ন সড়ক তথা ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়ক, ইলিশা সড়ক, ভেদুরিয়া-ভেলুমিয়া, ধনিয়া সড়ক সহ সদরের বিভিন্ন অলি গলিতে দেখা যায় ব্যাটারি চালিত বোরাক, অটোরিক্সার বিভিন্ন কালারের হলুদ, সাদা এলইডি লাইটের ঝাপসা আলোর কারণে রাতের বেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এই কঠিন ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভোলার সচেতন নাগরিক মহল।
সম্প্রতি, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা সদরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পযন্ত মাইকিং ও জেল জরিমানার মাধ্যমে ভোলায় ব্যাটারি চালিত বোরাক, অটোরিক্সা সহ সকল প্রকার যানবহনে এলইডি লাইটের কঠোর প্রশাসনিক অভিযানের মাধ্যমে তা নিম্মুল করলেও বর্তমানে প্রশাসনিক অভিযান না থাকায় যে যার মত করে লাইট ব্যবহার করছে, যার ফলে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে যানবহনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু যানবাহন বোরাক, অটোরিক্সা, সিএনজি, নসিমন, করিমন ইত্যাদি যানবহনের সাথে লাগানো এলইডি লাইটের সাদা, হলুদ আলোক রশ্মির ফলে সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাতে এ সকল গাড়ির আলো সরাসরি বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক ও পথচারীদের চোখে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এর ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবহনের চালক ও পথচারীরা কিছুই দেখতে পান না। যার ফলে ক্রমেই বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা।
বিভিন্ন সড়কের পথচারী মানুষ জানান, বোরাক, অটোরিক্সা, মিশুকের যে লাইট লাগানো সামনের দিকে কিছু দেখা যায়না, তাতে রাস্তা দিয়ে হাটা যায়না। চলাচলের সময় তখন দাড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা ঐ সকল যানবহন থেকে এলইডি লাইট গুলো বাতিল করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।
মোটরসাইকেল আরোহীরা জানান, সড়কে চলাচলের সময় অপরদিক থেকে আসা এলইডি লাইটের আলোর কারণে রাতের আধারে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বোরাক, অটোরিক্সা, সিএনজি, নসিমন, করিমন সহ নাম না জানা অনেক যানবহনের বিভিন্ন কালারের এলইডি লাইটের আলোর কারণে কিছুই দেখা যায়না, চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, দূর্ঘটনার আসংখা থাকে। তাই এসকল ঝুকিপূর্ণ সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন কালারের লাইটের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য কতৃপক্ষকে দ্রুত দৃষ্টি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।