ভোলায় বাঁচতে চান মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হতদরিদ্র ছালেম
রাকিব হাওলাদার, ভোলাঃ ভোলায় মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হতদরিদ্র রিক্সাচালক ছালেম, অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ। বাঁচার জন্য আকুতী, চিকিৎসা করাতে আর্থিক সহযোগিতা চান বৃত্তবানদের কাছে।
ভোলা সদর উপজেলার ৬নং ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী, দরবেশ আলী বেপারী বাড়ির, মৃত শামসুল হকের ছেলে, রিকশাচালক মোহাম্মদ ছালেম (৬০), দীর্ঘ ৩ বছর যাবত মরণব্যাধী ক্যান্সারে ভুগছে। অসহায় সম্বলহীন রিক্সাচালক মোঃ ছালেম তিন সন্তানের জনক, মোহাম্মদ ছালেমের চিকিৎসা খরচ তো দূরের কথা পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। গ্রামে ধারদেনা করে চলছে তার বর্তমান জীবনযাপন।
দুই বছর যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছালেম ভোলা, ঢাকা, বরিশাল সহ চিকিৎসার জন্য ধারদেনা করে প্রায় ৪লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করার পরেও সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনী। এই অসহায় ছালেমের ঘরে কান্নার রোল এ যেন দেখার কেউ নেই। গ্রাম থেকে ধার দেনা করে কতদিন ঔষধ কিনবে, গ্রামবাসী এখন ধার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, কারন সে কিভাবে ধারদেনা পরিশোধ করবে। রিকশাচালক মুহাম্মদ ছালেম কথা বলতে পারে না, কথা বললে গলায় বসানো পাইপ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে।
ছালেমের স্ত্রী নুরভানু বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ মরণব্যাধী ক্যান্সারে অসুস্থ, এর মধ্যে এই ওয়ার্ডের মেম্বার বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থেকে কোন সাহায্যে সহযোগিতা পাইনি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন চাউলের সিলিপও পাইনি। নুরভানু আরো বলেন,টাকার অভাবে আমার স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারি না। অন্যদিকে সংসার চলছে না, তিনবেলা দুমুঠো ভাত খেতে কষ্ট হয়। টাকার অভাবে ঔষধ কিনতে পারি না প্রতিদিন ৪৫০ টাকার ওষুধ কিনতে হয় একদিন ঔষধ বন্ধ করে দিলে গলায় বসানো পাইপ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে, এখন আমি ওষুধ কিনবো নাকি সংসার চালানোর জন্য চাউল কিনব।
এলাকাবাসী জানান, ছালেম দীর্ঘদিন যাবৎ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত, আমরা কয়েকজন মিলে এলাকার থেকে অল্প কিছু টাকা উঠিয়েদেই সেই টাকা দিয়ে ছালেমের কোন রকম ঔষধ কিনে। আমরা এলাকার সামর্থবার যারা আছে তারা সবাই মোটামুটি ভাবে তার চিকিৎসার জন্য দিয়েছি। তারপরেও তিনি সুস্থ হয়ে উঠেনি, আমরা ভোলাসহ দেশের বৃত্তবান ব্যক্তিদের কাছে ছালেমের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।