টি এ শাহীন,নিজস্ব প্রতিবেদক,

(অবঃ) মেজর জসিম মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে ভিত্তিহীন পোষ্ট করছে বলে অভিযোগ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরনবী চৌধুরী শাওন। তার ফেজবুক আইডিতে দেওয়া এক বার্তায় এ অভিযোগ করেন তিনি। নিচে এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওনের ফেজবুক আইডিতে দেওয়া বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

বাধ্যতামুলক (অবঃ) মেজর জসিমের মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে ভিত্তিহীন পোষ্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-----------------------------------------------------------
প্রিয়,
লালমোহন ও তজুমদ্দিন বাসী আসসালামুআলাকুম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতি সমুদ্ধি'র উপর আস্থা রেখে ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন। পরবর্তীতে মাননীয় নেত্রীর সহানুভুতি ও আপনাদের ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে ২০১৪ ও ২০১৮ সাল সহ মোট তিনবার আপনাদের সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আমার সর্বোচ্চ শ্রম, মেধা অর্থ ও সামর্থ নিয়ে আপনাদের সুখে দুঃখে বিপদে আপদে তথা ঝড়, বৃষ্টি বন্যা আইলা, রোজা ঈদ পুজায় সর্বশেষ করোনায় ৬৭ দিন এলাকায় থেকে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে লক ডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলার ৬৫ হাজার পরিবারকে সরকারী সহায়তার বাহিরে আমার নিজের জমি বিক্রি করে খাদ্য ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী দুঃস্থ জনসাধারনের মাঝে বিতরন করি।

ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে মাননীয় নেত্রীর নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়ে কারা নির্যাতন ভোগ করি।
যার কারনে মাননীয় নেত্রী এক সময়ের সন্ত্রাসের অভয়ারন্য লালমোহন-তজুমদ্দিনে আওয়ামীলীগ সহ সর্বস্তরের মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য নৌকা প্রতিক দিয়ে আমাকে আপনাদের মাঝে পাঠান এবং প্রিয়নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেন।
আপনারা মাননীয় নেত্রীর উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখে তিন তিন বার আমাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন।
আমি মাননীয় নেত্রীর সহযোগিতায় এক সময়ের উন্নয়ন বঞ্চিত, অবহেলিত এই জনপদের মানুষকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষাসহ যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা আপনারা ভালোভাবে অবগত আছেন।
মেয়ের বিয়ে সাদী, অসুখ বিসুখ কিংবা যেকোন বিপদে আপদে আপনাদেরকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছি।
আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে উপজেলা পর্যায়ে সহযোগী সংগঠনতো দুরের কথা আওয়ামীলীগের কোন কমিটি ছিলনা।
বিগত দশ বছরে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যার কারনে লালমোহন-তজুমদ্দিনে আওয়ামীলীগ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সুশৃঙ্খল শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়েছে।
দুই উপজেলায় আওয়ামীলীগের নিজস্ব কোন অফিস ছিলনা। আমি দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি অফিস নির্মানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগের নিজস্ব অফিস নির্মাণ করেছি।
অতি দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি একজন ব্যক্তি কিছু বিএনপি ও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারীদের সহযোগিতায় নিজের আইডি ও কিছু ফেক আইডির মাধ্যমে সরকার এবং আমার সকল উন্নয়ন, সাংগঠনিক দক্ষতাকে ম্লান করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে আমার প্রিয়নেত্রী, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, বিশ্ব জনন্দিত নেতা, কিংবদন্তি সফল রাষ্ট্র নায়ক, দেশরত্ন মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।