প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জুন বুধবার সকালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আমড়াগাছিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নুরুল আমীন হাওলাদার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ওই দিন রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত শামসুল হকের দুই ছেলে শহিদুল ইসলাম দুলাল ও কালাম হাওলাদার, কালাম হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম দুলালের ভাগিনা পটুয়াখালীর বাসিন্দা নুরুল ইসলামের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও তামিম শিকদার সহ আরো ২/৩ জন। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ক্বারী মোঃ আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে নুরুল আমীন হাওলাদার ও প্রতিপক্ষরা পাশাপাশি অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত বসতঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। এদিকে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে প্রতিপক্ষরা তাদের বাড়ির সামনের কবরস্থানে জলবদ্ধতাকে কেন্দ্র করে পূর্বের শত্রুতার জের অনুযায়ী প্রতিপক্ষরা গালাগালি শুরু করে। বিষয়টি ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে ভুক্তভোগী নুরুল আমীন হাওলাদার ও তার ছেলে হাফেজ মাওঃ আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এমনকি গত আ.লীগের আমলে প্রতিপক্ষরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের বসতঘরের পাশে থাকা জমি দখল করে বাতরুমের ট্যাংকি তৈরি করে তার থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে পরিবেশ নষ্ট সহ মানসিক কষ্ট দিয়ে আসছে এবং তার পাশে থাকা একটি ফলজকৃত আম গাছ কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তা হীনতার ভুগছেন। এবিষয়ে জানার জন্যে প্রতিপক্ষদের কাছে জানতে চাইলে তারা মারামারির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমাদেরও ২/৩ জন আহত হয়েছে। বাতরুমের ট্যাংকির বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের জমিতে করা হয়েছে বলে জানান। এবিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।