মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
প্রবাসীর বসতঘর গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ৬ জুন মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাফলেজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সাফলেজা গ্রামে ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা সোনা মিয়ার দুই ছেলে শহিদুল আলম, ওসমান, শহিদুল আলমের স্ত্রী হাওয়া বেগম, আঃ মন্নানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম সহ একদল ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে। প্রবাসী আজিজুল ওরফে কালু শরিফ একই এলাকার বাসিন্দা মৃত রত্তন শরিফের ছেলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে দেখা যায় ওই এলাকার বাসিন্দা সোনা মিয়ার ছেলে আবুল কালামের কাছ থেকে আজিজুল ওরফে কালু শরিফ ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরে সেখানে আবুল কালাম বিক্রিকৃত জমি আজিজুল ওরফে কালু শরিফের স্ত্রী ফারজানা বেগমকে বুঝিয়ে দেয়। সেই জমিতে ফারজানা বেগম বসতঘর তৈরি করলে প্রতিপক্ষরা তান্ডব চালায় এবং বসতঘরটি গুড়িয়ে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে প্রবাসী আজিজুল ওরফে কালু শরিফের স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩০), সানি হাওলাদারের স্ত্রী নিলা বেগম (২৮), আজিজুল ওরফে কালুর লাইলি বেগম (৪৫) সহ অনেকে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করালে ফারজনা বেগম ও নিলা বেগম গুরুতর আহতের কারনে ভর্তি করান আর অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে আবুল কালাম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বর্তমানে শালিস চলমান রয়েছে। কারন ক্রয়কৃত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করার পরে দেখা যায় এসএ পর্চার খতিয়ানের দাগ না দিয়ে বিএস এর পর্চার দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এবিষয়েও একটি গোলমাল রয়ে গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত শহিদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।