মতলবে ধনাগোদা নদীতে কচুরিপানার কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত
শফিকুল ইসলাম রানা, মতলব উত্তর (চাঁদপুর) :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনাগোদা নদীর ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার দীর্ঘ জট লেগে আছে। এতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধনাগোদার গালিমখাঁ বাংলা বাজার থেকে কালির বাজার প্রায় ৪ কিলোমিটার, গাজীপুর মোড় থেকে সাহেববাজার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকায় কচুরিপানা জমাট বেঁধেছে। কচুরীপানা জটের কারণ হিসেবে অনেকে অপরিকল্পিত অবৈধ মাছের ঘেরতে দায়ি করেন।
গালিমখাঁ এলাকার কবির হোসেন জানান, ধনাগোদা নদীতে কচুরীপানার জট থাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী হাট-বাজারে পণ্য আনতে সমস্যা হচ্ছে। বালুভর্তি বাল্কহেড আসতে সমস্যা হওয়ায় বালু সংকট দেখা দিয়েছে।
কচুরীপানার জট সম্পর্কে তিনি বলেন, ধনাগোদা নদীতে মাছ ব্যবসায়ীরা ঘের বা জাগ দিয়ে রেখেছে, তাই কচুরীপনার জট।
মতলব-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী গ্রিন ওয়াটার যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক (সুকানি) মো. আমিন বলেন, তাঁর লঞ্চটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটায় মতলব থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। এটি দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও কচুরিপানার কারণে পৌঁছাতে দুইটা বেজে যায়। মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, লঞ্চে ঢাকা থেকে মতলবে আসতে কচুরিপানার কারণে দুই ঘণ্টা দেরি হয়।
নৌকার মাঝি মনির হোসেন বলেন, কস্তুরি ঠেইল্লা নদী পার অইতে কষ্ট লাগে। ৫ মিনিটের জায়গায় লাগে ২০-৩০ মিনিট।
মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র জুয়েল মিয়া জানায়, কচুরিপানার কারণে নদী পার হতে সময় নষ্ট হওয়ায় প্রায়ই ক্লাস মিস হয়।
মতলব মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ছবি-০১ :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনাগোদা নদীর ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার দীর্ঘ জট লেগে আছে।