শহিদুল ইসলাম মনপুরা প্রতিনিধি।
মনপুরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃশামীম মিঞা
এবং ভূমিবন্দোবস্ত কমিটি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেই লক্ষে কাজ করছেন ভুমি ব্যাবস্থাপনা কমিটি,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সারারাত জেগে সুর্যোদয়ের পুর্ব পর্যন্ত ভুমি অফিসে কাজ করছেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে একটি পরিবারও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা এই মর্মে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা।
মনপুরা প্রকৃত ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা। শত ব্যস্ততার মাঝেও ভুমিহীন গৃহহীনদের সাথে কথা বলেন। তাদের কষ্টগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। গরীব অসহায় ভুমিহীন পরিবারগুলো ভূমিবন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।মনপুরা প্রকৃত ভূমহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনপুরা উপজেলায় ছোট বড় ১০/১২টি চর রয়েছে। যেখানে ১০/১২ হাজার একর কৃষি খাস জমি রয়েছে। সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত এই সব চরের জমি বন্দোবস্ত না দেওয়ার কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু প্রভাবশালী মহল জমি দখল করে অকৃষি কাজে ব্যবহার করছে।
এইসব চরগুলো কোন ভুমি ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রভাবশালীরা দখলিস্বত্ব বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারগুলো ভূমি পাওয়ার অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে।
২০১৮ সালে মনপুরায় এসে তৎতালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী বর্তমান ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি জনসভায় ঘোষনা করেছিলেন মনপুরায় ১ হাজার মানুষকে ভূমি বন্দোবস্ত দিবেন। এর ফলে দীর্ঘদিন পর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় নানাবিধ প্যতিকুলতার মধ্যেও ভুমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া চালু আছে। প্রতিদিন শতশত অসহায় গরীব ভূমিহীন পরিবারগুলো ভূমি অফিসে আশে পাশে ঘুরাঘুরি ও দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। উপজেলা ভুমি অফিসে ভূমিহীন অসহায় পরিবারগুলো ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন ফরম জমা দেয়। উপজেলা ভূমি অফিস এই আবেদন যাছাই-বাছাই করে বন্দোবস্ত প্রস্তাবগুলো জেলা কালেক্টর বরাবর অনুমোদনের জন্য প্রেরন করেন বলে ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায়।
কিছু ভূমিদস্যুর কারণে দীর্ঘদিন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবারগুলো তাদের ভুমিতে তাদের দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় ফসল উৎপাদন করতে পারছেনা। জমিতে ফসল উৎপাদন করার চেষ্ঠা করলেও ভুমি দস্যুদের বাধাঁর সম্মুখিন হচ্ছেন। কাজীরচর, চরকলাতলী, চর নজরুল বন্দোবস্ত পাওয়া পরিবারগুলো এখনও জমির দখল নিতে পারছেনা বিধায় মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজারো পরিবার।
এব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রকৃত ভুমিহীন পরিবার যাতে ভুমি বন্দোবস্ত পায় তার জন্য ভুমিবন্দোবস্ত কমিটির সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন চরে বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবারগুলোর জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ইতি মধ্যে ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা ভূমি বন্দোবস্ত কমিটি আন্তরীকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছি। মুজিব শতবর্ষে প্রকৃত ভুমিহীনদের মাঝে ভুমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা বলেন, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে । মুজিব শতবর্ষে একটি পরিবারও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা মর্মে ঘোষনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষনা বাস্তবায়নে উপজেলা ভূমি বন্দোবস্ত কমিটি আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমি ভূমি বন্দোবস্ত কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।