মনির হো টাকা পয়সা নিয়ে উধাও স্ত্রী অনুসেন সকল বেগম, প্রবাসি হতভাগা স্বামী করুণ কাহিনি ঃ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী সদর উপজেলা সাটিরপাড়া এলাকায় বাসিন্দা মোঃ মনির হোসেন ২০১১ সালে পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে একই উপজেলা কাউরিয়া পাড়া এলাকায় বাসিন্দা মোঃ বাদল মিয়া মেয়ে মোসাঃ অনু বেগমকে বিয়ে করেন। মনির হোসেন পরিবার পূর্ব থেকে ধনী ছিলেন। বেশ সুখে শান্তি দিন যাপন করতে শুরু করেন তারা। বিবাহের বছর না বছর যেতে মনির হোসেন বউ অনুরোধ টাকা জন্য পাড়ি জমান সেই দূর প্রবাসে। বাবা মায়ের আদুরের ছেলে প্রবাসে গিয়ে তার বাবা মায়ের কাছে কোন টাকা পয়সা না দিয়ে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতেন তার স্ত্রী অনু বেগম এর একাউন্টে। সে ভাবতো পৃথিবীতে তার আপন বলতে শুধু একমাত্র তার স্ত্রী, তাই তার স্ত্রী অনু বেগম যখন যা করতে বলতো তাই করতো মনির হোসেন। কিন্তু মনির হোসেন কি জানতো যে এই ভালোবাসার মানুষটি তার বুকের উপর একদিন ছুরি মারবে। যা জন্য মা, বাবা, ভাই, বোন, বন্ধু ও বান্ধব সব কিছু ছাড়তে হলো। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মূল পরিহার সেই স্ত্রী তার সাথে করলো পৃথিবীর সেরা বিশ্বাসঘাতকতা।
হতভাগা সেই মনির হোসেন হাতে লেখা সেই করুণ কাহিনি চিঠিঃ
প্রিয় দেশবাসী,
আমি মোঃ মনির হোসেন
প্রবাসি, সৌদিআরব
আমি মোঃ মনির হোসেন, পেশা একজন সৌদি প্রবাসি। আমি বিয়ে করি ২০১১ সালে কাউরিয়া পাড়া এলাকায় মোঃ বাদল মিয়া মেয়ে অনু বেগমকে। মেয়ে বাবা ছিলেন একজন দুধ বেপারি। মেয়ের মাতার নাম ফরিদা বেগম, যিনি একজন গৃহিণী। মনির হোসেন স্ত্রী অনু বেগম নিজেও ছিলেন একজন গৃহিণী। বিয়ের পর তাদের মধ্যে ছিলো মধুর সম্পর্ক। শ্বশুর - শ্বাশুরি মনির হোসেন মা-বাবা চেয়ে বেশি ভালোবাসতো এবং বিশ্বাস করতো। কিন্তু এত ভালোবাসার মধ্যে যে লুকিয়ে আছে অনেক খারাপ কিছু মনির হোসেন তা জানতো না। হঠাৎ একদিন মনির হোসেন তাদের সকল অপকর্মের কথা জেনে ফেলেন। কেন তার শ্বশুর - শ্বশুরি তাকে এত ভালোবাসতো এবং কেন তার মেয়েকে মনির হোসেন সাথে বিয়ে দিয়েছেন। তার একমাত্র কারন ছিলো মনির হোসেন সকল টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া। টাকা জন্য অনু বেগমকে মা বাবা যে কোন ধরনের কাজ করতে কোন দ্বিধাবোধ করেন না। দীর্ঘ ১০ বছর মনির হোসেন সব টাকা পয়সা দিয়েছেন তার বউয়ের একাউন্টে, যা দিয়ে অনু বেগম এর সকল পরিবার চলতো। আর বিয়ে পর থেকে অনু বেগম সব সময় তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। মনির হোসেন সব সময় তার স্ত্রী প্রতি দূর্বল ছিলেন, তাই তার স্ত্রী যখন যা চাইতেন তখন তা দিতেন। বিয়ের পর ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু ২০২০ সালে থেকে তার বউ অনু বেগমসহ তার শ্বশুর - শ্বশুরি কেউ তাকে আর দেখতে পারেন না। যে শ্বশুর শ্বশুরি মনির হোসেন বাবা- মায়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন তার আজ দুই চোখে দেখতে পারেন না। যাদেরকে তিনি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আপন ভাবতেন তারা আজ মনির হোসেনকে সর্বহারা করে রাস্তা নামিয়ে দিয়েছেন। মনির হোসেন দীর্ঘ ১০ বছরে জমানো ২৫ লক্ষ টাকা সহ ৫ ভরি স্বর্ণ আত্মাৎত করে ফেলন তার বউ অনু বেগম এবং শ্বশুর - শ্বশুরি।
মনির হোসেন টাকা দিয়ে অনু বেগমের বাবা বাদল মিয়া আর মা ফরিদা বেগম কাউরিয়াপাড়া গড়ে তুলেন তিন তলা বাড়ি। এতকিছু পরও মনির হোসেন চেয়েছিলেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো না। গত ১২-০৩-২০২০ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মনির হোসেন সব কিছু হারিয়ে সুখে কাতর হয়ে, দীর্ঘদিন মানুষের দ্বারা দ্বারা ঘুরে বেড়িয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাই মনির হোসেন এখন আইনের মধ্যে তার জীবন নিয়ে যারা খেলা করেছেন তাদের বিচার দাবি করেন। এবং দেশবাসিকে জানতে চাই উনার মতো যেন আর কেউ এমন ভুল আর না করেন। আর অনু বেগমের পরিবারকে যেন নরসিংদীবাসি চিনে রাখে।