''জাদুঘর,স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধি'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহাস্থানগড়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস।
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ১৯৬৭ সালে করতোয়া নদীর আদলে ও মহাস্থানগড়ের টিলা সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মহাস্থানগড়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো।
প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের আয়োজনে মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (১৮ মে ২৩ইং) সকাল ১০ টায় মহাস্থান জাদুঘর চত্বরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান বলেন,
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে জাদুঘরের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে জনসাধারণের দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া। দিবসটি সমাজের উন্নয়নে জাদুঘরগুলি যে ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন।
তিনি আরো বলেন,প্রাচীর বেষ্টিত এই নগরীর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান মৌর্য, গুপ্ত,পাল, সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্ত রাজাদের রাজধানী ছিল। তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্ব করেন।তারই ধ্বংসস্তিত মূর্তি শিলাপাথর, বড় বড় হাঁড়ি-পাতিল, মাঠির নকশা আঁকা সহ বিভিন্ন পুঁড়ামাঠির আসবারপত্র রয়েছে এই জাদুঘরে, যা দেখতে আসেন বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো দর্শনার্থীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্টাফ বৃন্দ প্রমুখ।