বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান মাজার এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের ফি আদায়ে নয় ছয় দুই আদায়কারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । সরকার নির্ধারিত পার্কিং ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ও রশিদ ছাড়া টাকা আদায়ের এসব অভিযোগ আদায়কারীদের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
গত শুক্রবার সরেজমিনে ঐ এলাকায় গেলে পার্কিং খরচের টাকা আদায়ে অনিয়মের কথা জানান বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নির্ধারন করে দেয়া গাড়ি পার্কিং মূল্য তালিকায় ১৫% ভ্যাটসহ প্রতিটি বাস ও ট্রাকের পার্কিং ফি ২৮৭ টাকা,জিপ,কার ও মাইক্রোবাসের পার্কিং ফি ৮০ ও মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি ২৩ টাকা লেখা রয়েছে। পার্কিং জোনের প্রবেশ দ্বারে মূল্য তালিকা সংবলিত একটি সাইনবোর্ডও দেয়া আছে। মাজার এলাকায় আসা ভটভটি চালক মিনারুল ইসলাম জানান, ৩ ঘন্টা আগে গাড়ি পার্কিং করেছিলাম। এখন গাড়ি বের করার সময় আমার কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে ২০ টাকার একটা রশিদ হাতে ধরিয়ে দিয়েছে আদায় কারীরা। অথচ ভটভটির কোন পার্কিং ফি নাই।
বাস চালক ইব্রাহিম আলী জানান, আমার কাছ থেকে ২৯০ টাকা পার্কিং ফি নিয়েছে আদায়কারী। টাকা নেয়ার পর কোন রশিদ আমাকে দেয় নি।ট্রাক চালক আবু হোসেন জানান, আমার কাছ থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের ৩০০ টাকা ফি নিয়েছে। কোন রশিদ দেয়নি। পিকআপ চালক আলমগীর হোসেন জানান, রশিদ ছাড়াই ৮০ টাকা পার্কিং খরচ নিয়েছে এখানকার আদায় কারীরা।স্থানীয় বাসিন্দা জনি মিয়া জানান, অধিকাংশ যানবাহনের টাকা রশিদ ছাড়াই আদায় করেন এখানকার আদায়কারীরা। এটা আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ দেখে আসছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐ পার্কিং এলাকায় রেজাউল করিম ও নয়ন মিয়া নামের দুইজন ব্যক্তি পার্কিং ফি আদায় করেন।আদায়কারী রেজাউল করিম বিজয়ের বানী পত্রিকাকে জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ড ছড়ানো হচ্ছে। এসব দাবি মিথ্যা। নয়ন মিয়া নামের আরেক আদায়কারী জানান, ব্যস্ততার কারনে অনেককে রশিদ দেয়া সম্ভব হয়না। একজনকে টিকিট দিতে আরেকজন চলে যায়।তাই টিকিট না দিয়েই মাঝে মাঝে টাকা নিতে হয়।
এ ব্যাপারে মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা জানান, আদায়কারীরা আমাদের অফিস থেকে রশিদ নিয়ে আদায় করতো। তবে তাঁরা অফিস কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত নয়। অনিয়মের বিষয়টি আমিও জেনেছি। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্টাফদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি।
Leave a Reply